—ফাইল চিত্র।
নিজের দেশ সঙ্কটে অস্থির। সে সব ছেড়ে ধনী আরব দুনিয়ার সঙ্কটে মধ্যস্থতা করতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে হাজির হয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এবং যথারীতি সৌদি আরবে গিয়ে শুনতে হল কড়া কথা। কাতার সঙ্কটে ‘কোনও পক্ষ না নেওয়া’ পাকিস্তানকে সৌদি রাজার স্পষ্ট করে বলে দিলেন, ‘আগে স্পষ্ট করুন কোন দিকে আছেন... কাতারের দিকে না আমাদের দিকে...’।
পশ্চিম এশিয়ায় সাম্প্রতিক কূটনৈতিক অচলাবস্থা ‘কাটাতে’ সৌদি সফরে গিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। সোমবার জেড্ডায় সৌদির রাজা সলমনের সঙ্গে এক বৈঠকে অচলাবস্থা কাটানোর অনুরোধ করেন তিনি। সে অনুরোধে সৌদি রাজা খুব একটা কর্ণপাত করেননি। উল্টে শরিফকে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে বলেন সৌদি রাজা সলমন।
আরও পড়ুন
পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য: চমকে দিয়ে মন্তব্য চিনা মুখপত্রের
তবে পাক কূটনৈতিক মহলের সূত্রে খবর, সৌদির এই অনড় মনোভাব সত্ত্বেও এখনই কোনও পক্ষ নিতে চাইছে না পাকিস্তান। পাকিস্তানের দাবি, তাতে মুসলিম দুনিয়ায় বিভাজন সৃষ্টি হতে পারে। সৌদিকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে বলে দাবি পাক সংবাদমাধ্যমে।
সন্ত্রাসে মদত দেওয়ার অভিযোগে চলতি মাসেই কাতারের সঙ্গে সমস্ত রকম কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছে সৌদি, বাহরাইন, মিশর-সহ ছ’টি আরব দেশ এবং মলদ্বীপ। কাতার থেকে কূটনীতিকদের নিজেদের দেশেও ফিরিয়ে নিচ্ছে তারা। তবে এই সঙ্কটে কাতারের পাশে দাঁড়িয়েছে তুরস্ক। ইরানও সঙ্কট মুহূর্তে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে কাতারের দিকে।
সৌদি ও কাতার— দু’দেশের সঙ্গেই পাকিস্তানের সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে পশ্চিম এশিয়া অচলাবস্থা দেখা দিলেও তড়িঘড়ি কোনও একটি দেশের পক্ষ নিতে নারাজ পাকিস্তান। অন্য দিকে, সৌদিকেও চটাতে চায় না নওয়াজ সরকার। কাতারের উপর নিজের প্রভাব খাটিয়ে এই সঙ্কটের সমাধানসূত্র খোঁজার প্রস্তাবও দিয়েছে পাকিস্তান। সে কারণে শরিফ শীঘ্রই কাতার, কুয়েত ও তুরস্ক সফরে যাবেন বলে পাক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। অন্য দিকে, অচলাবস্থা কাটাতে ইতিমধ্যেই নমনীয় মনোভাব দেখাতে শুরু করেছে কাতার।