২০১৪ সালে হেনরি নামের কুকুরটিকে দত্তক নেন ভ্রমণপিপাসু সিনথিয়া বেন্নেট। হেনরি তখন মাত্র ১৪ দিনের। কিন্তু তাতে কী, ওই ১৪ দিনেই ওর বাড়বাড়ন্ত অন্য বড়সড় কুকুরদেরও হার মানিয়ে দিয়েছিল।
সিনথিয়া বেন্নেটের ইচ্ছে ছিল একটি গোল্ডেন রিট্রিভার কেনার। কিন্তু এক জায়গায় হেনরিকে দেখার সঙ্গেই সিনথিয়ার মনে ধরে সে। হেনরির কাছে যাওয়া মাত্রই সে সিনথিয়ার কোলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। আর তারপরই হেনরিকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিনথিয়া।
সিনথিয়া বলছেন, “প্রথম বার তিন দিনের জন্য হেনরিকে নিয়ে ঘুরতে যাই। আর সেই ট্রিপে হেনরি বেজায় আনন্দ পেয়েছিল।”
পোষ্যের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সিনথিয়া আরেকটু যোগ করে বললেন, “এক বার তো ঘুরতে গিয়ে হেনরির নজরে আসে খাড়া একটি শিলা। আর সঙ্গে সঙ্গে ছুটে ও ওই শিলার শেষ প্রান্তে গিয়ে পৌঁছয়। ওখানকার লোকজন তো ওকে লিটল মাউন্টেন গোট অবধি বলতে শুরু করে দেয়।”
কয়েক মাস আগে পরিবারে আরেক সদস্যকে নিয়ে আসেন সিনথিয়া ও তাঁর বয়ফ্রেন্ড। পাঁচ মাস ধরে তন্ন তন্ন করে খোঁজার পর এক সিয়ামিজ বিড়াল ছানার খোঁজ পান তাঁরা। ওর নাম রাখেন বালু।
বালু বাড়িতে আসা মাত্রই হেনরির সঙ্গে তার পরিচয় করিয়ে দেন সিনথিয়া। তার পর থেকে ওরা যেন অভিন্ন আত্মা। একে অপরকে ছাড়া ওদের চলেই না। তা সে খাওয়া-দাওয়া হোক বা স্নান করা হোক বা ঘুরতে যাওয়া, এমনকী দুপুরের ভাতঘুমটা অবধি এক সঙ্গে সাড়ে ওরা।
তবে কুকুর আর বিড়াল যাদের সম্পর্ক কিছুটা খাট্টা-মিঠা গোছের, তাদের এক সঙ্গে যে কী করে বেড়াতে নিয়ে যাবেন তা নিয়ে যথেষ্ট ধন্দ ছিল সিনথিয়া ও তাঁর প্রেমিকের।
কিন্তু পরে সিনথিয়া দেখলেন তিনি আদতে ভুল ভেবেছেন। বরঞ্চ দুজনে স্বানন্দেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয়, একে অপরের প্রতি যথেষ্ট যত্নশীল ওরা।