taliban

Taliban Insurgency: বিনাযুদ্ধে জালালাবাদ দখল করল তালিবান! কাবুল থেকে পাততাড়ি গোটাচ্ছে আমেরিকাও

জালালাবাদও আফগান সরকারের হাতছাড়া হওয়ায় এখন দেশে তালিবান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার পথে শুধুমাত্র কাবুলই পড়ে রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কাবুল শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০২১ ১১:২৪
Share:

কাবুলে তালিবান কর্তৃত্ব কায়েম এখন সময়ের অপেক্ষা।

মাজার-ই-শরিফ, গজনি, কন্দহরের পর এ বার জালালাবাদও দখল করল তালিবান। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একেবারে গা ঘেঁষে রয়েছে জালালাবাদ। তাই কাবুলে তালিবানের প্রবেশ এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। কারণ সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, জালালাবাদ দখল করতে কোনও বাধার মুখেই পড়তে হয়নি তালিবানকে। একেবারে বিনাযুদ্ধেই শহরটির দখল নিয়ে ফেলেছে তারা। সকালে উঠে দরজায় দরজায় তালিবানের পতাকা ঝুলতে দেখেন স্থানীয়রা।

Advertisement

জালালাবাদও আফগান সরকারের হাতছাড়া হওয়ায় এখন সে দেশে তালিবান কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা হওয়ার পথে শুধুমাত্র কাবুলই পড়ে রয়েছে। ঝড়ের বেগে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে তালিবান। পাকিস্তানের পেশোয়ারমুখী একটি জাতীয় সড়কও ইতিমধ্যেই দখল করে নিয়েছে তারা, সড়কপথে পাহাড়-পর্বত দিয়ে ঘেরা আফগানিস্তান ঢোকার একমাত্র রাস্তা হিসেবে বিবেচিত হত সেটি।

আফগান সরকারের এক আধিকারিক সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘‘গভর্নর নিজে থেকেই আত্মসমর্পণ করেন। তাই জালালাবাদ দখলে যুদ্ধের কোনও প্রয়োজনই পড়েনি তালিবানের। তবে নাগরিকদের প্রাণ বাঁচাতে এ ছাড়া উপায়ও ছিল না।’’ জালালাবাদ থেকে সরকারি আধিকারিক এবং সেনাবাহিনীকে বেরিয়ে যেতে দিতে তালিবান রাজি হয়েছে বলে খবর।

Advertisement

আমেরিকা সেনা সরাতে শুরু করার পর থেকেই আফগানিস্তানে একের পর এক শহর দখল করেত শুরু করে তালিবান। কাবুলে তালিবানকে অন্তত তিন মাস ঠেকিয়ে রাখা যাবে বলে শুরুতে দাবি করেছিল আমেরিকা। কিন্তু তালিবান জালালাবাদ দখল করার পর, কাবুলের দূতাবাস থেকে কর্মী সরাতে শুরু করে দিয়েছে আমেরিকা নিজেই। এখন যে কোনও মুহূর্তে তালিবান কাবুল দখল করে নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তাঁরা।

শনিবার তালিবান মাজার-ই-শরিফ দখল করার পর আফগানিস্তানে সেনা বাড়ানোর ঘোষণা করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে দেশে স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনিও। কিন্তু দেশের বিরোধী রাজনৈতিক শিবিরের মতে, প্রতিশ্রুতি শুধু মুখের কথাতেই আটকে রয়েছে। তালিবানকে প্রতিরোধের সামর্থ্যই নেই গনি সরকারের। গনি নিজেই ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়ার পরিকল্পনা করছেন বলেও অভিযোগ তাঁদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন