Sher Mohammad Abbas Stanikzai

Taliban: দেহরাদূনে সেনা অ্যাকাডেমির সকলের প্রিয় ‘শেরু’ই আজ তালিবান নেতা শের মহম্মদ স্তানিকজাই!

১৯৮২-তে আফগানিস্তান থেকে বছর কুড়ির স্তানিকজাই দেহরাদূনের আইএমএ-তে এসেছিলেন প্রশিক্ষণ নিতে। সেই স্মৃতিই রোমন্থন করেছেন সতীর্থরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০২১ ১৪:১২
Share:

তালিবানের ‘সপ্তরথী’র এক জন শের মহম্মদ স্তানিকজাই। ছবি: রয়টার্স।

তাঁদের প্রিয় ‘শেরু’ই যে আজ তালিবানের এক জন হোতা, সেটা বিশ্বাসই করতে পারছেন না তাঁর সতীর্থ এবং শিক্ষকরা। মৃদুভাষী এক যুবক কী ভাবে এক জন কট্টরপন্থী হয়ে উঠলেন, তা ভাবলেই যেন সব কিছু গুলিয়ে যাচ্ছে তাঁদের। প্রায় ৪০ বছর আগে সূদূর আফগানিস্তান থেকে আসা সেই ‘শেরু’কে এখন যেন কোনও ভাবেই মেলাতে পারছেন না তাঁরা।

এক সপ্তাহ হতে চলল তালিবানের দখলে আফগানিস্তান। অন্তরালে থেকে যে সব নেতারা গোটা সংগঠন চালান, কাবুল দখল করার পরই সেই সব নেতার ছবি প্রকাশ্যে এনেছে তালিবান। তাঁদের মধ্যেই একটি নাম দেখে চমকে উঠেছিলেন দেহরাদূনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি অ্যাকাডেমি (আইএমএ)-র ১৯৮২-র ব্যাচের অনেকেই।

নেতাদের নামের পাশে জ্বলজ্বল করছিল শের মহম্মদ আব্বাস স্তানিকজাইয়ের নাম। এই শের-ই যে তাঁদের সকলের প্রিয় ‘শেরু’, তা চিনতে অসুবিধা হয়নি। কিন্তু মেনে নিতে বেধেছে। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় সেনার অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ডিএ চতুর্বেদী এক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, “শেরুকে যখন দেখেছিলাম, ওঁর মধ্যে কট্টরপন্থী চিন্তভাবনার লেশমাত্র ছিল না।”

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আইএমএ-তে শেরুর এক সতীর্থ অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল কেশর সিংহ শেখাওয়াত বলেন, “এক সঙ্গে সময় কাটাতাম, সপ্তাহান্তে ঘুরতে যেতাম।” এমনকি হৃষিকেশে গঙ্গায় শেরুর সাঁতার কাটার একটি ছবির স্মৃতিও কথা প্রসঙ্গে এনেছেন শেখাওয়াত।

১৯৮২-তে আফগানিস্তান থেকে বছর কুড়ির স্তানিকজাই দেহরাদূনের আইএমএ-তে এসেছিলেন প্রশিক্ষণ নিতে। তাঁরই এক সতীর্থ স্মৃতি হাতড়ে জানান, স্বল্প এবং মৃদুভাষী ছিলেন ‘শেরু’। অ্যাকাডেমিতে সকলের পছন্দের পাত্র ছিলেন। তাঁর গোঁফের জন্যও বেশ পরিচিত ছিলেন শেরু! মাঝেমধ্যেই সেই গোঁফে তা দিতেন।

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্র স্তানিকজাই। ভারতে যখন আফগানদের জন্য সেনা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের দরজা খোলা হল, সেই সময়েই দেহরাদূনে এসেছিলেন স্তানিকজাই। দেড় বছর সেখানে প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর ফের আফগানিস্তানে ফিরে যান এবং সেখানে আফগান ন্যাশনাল আর্মি-তে লেফটেন্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। সোভিয়েত-আফগান যুদ্ধে সামিল হয়ে ছিলেন তিনি। ইসলামিক লিবারেশন অব আফগানিস্তান-এর হয়েও যুদ্ধ করেন। ১৯৯৬-তে তালিবান যখন আফগানিস্তানে ক্ষমতায় আসে, সে সময় আফগানিস্তানের উপবিদেশ মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। ২০১৫-য় কাতারে তালিবানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয় তাঁকে। সেই ‘শেরু’ই এখন তালিবান ‘সপ্তরথী’-র এক জন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন