৪,৬০০ বছরের পুরনো পিরামিডের আশপাশ খুঁড়ে রহস্যময় একটি মানব কঙ্কালের খোঁজ পেলেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা।
মিশনের রাজধানী কায়রো থেকে ১০০ কিলোমিটার দক্ষিণে মেইডামে এক পিরামিডের কাছ থেকেই এই কঙ্কালটি উদ্ধার হয়েছে।
ভাল করে পরীক্ষা করার পর জানা গিয়েছে, কঙ্কালটি ১৩ বছরের একটি কিশোরীর। কঙ্কালের চারপাশ ছোট ছোট ইট দিয়ে তৈরি দেওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।
তবে কতদিন আগে দেহ কবর দেওয়া হয়েছিল, তা সঠিক বুঝতে পারা যায়নি এখনও। যে পিরামিড লাগোয়া স্থানে কঙ্কালটি উদ্ধার হয়েছে, সেটি আজ থেকে প্রায় ৪ হাজার ৬০০ বছর আগের। সেই সময়ে পিরামিডের ঠিক পাশেই এই ভাবে সমাধি দেওয়ার রেওয়াজ ছিল না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কঙ্কালটির সঙ্গে গর্তের ভিতরে তিনটি ছোট মুখঢাকা পাত্র, মুখ বন্ধ করা প্যাপিরাস এবং আরও দুটো খুলি উদ্ধার হয়েছে।
দু’টো খুলি সম্ভবত ষাঁড়ের। প্রাচীন মিশরীয় পৌরাণিক তত্ত্ব অনুযায়ী, ষাঁড় শক্তির প্রতীক। সাধারণত উচ্চ সামাজিক মর্যাদাপূর্ণ মানুষদের কবরের সঙ্গে ষাঁড়ের খুলি দেওয়া হত।
যা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, এই কিশোরী সম্ভবত উচ্চবংশীয়। কিন্তু কিশোরীর পরিচয়ের থেকেও সমাধির অবস্থান নিয়েই বেশি চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। রহস্য উদ্ধারে চলছে উদ্ধার হওয়া প্যাপিরাসটি পাঠোদ্ধারের কাজ।
সম্প্রতি মিশরীয় ইতিহাসের আরও অনেক রহস্যজনক এবং অজানা দিক সামনে এনেছেন প্রত্নতত্ত্ববিদেরা। যেমন তুতেনখামেনের সৌধে বিস্ময়কর বাদামি ছাপের রহস্য উদ্ঘাটন করে ফেলেছেন তাঁরা।
রাজনৈতিক অশান্তির কারণে ২০১১ সালের পর থেকে পর্যটকের সংখ্যা অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে মিশরে। এই সমস্ত খুঁড়ে বার করা ইতিহাসের হাত ধরেই নতুন করে পর্যটক টানতে চাইছে মিশর প্রশাসন।