প্রতিবাদে সামিল ইরানি মহিলারা। ছবি: টুইটারের সৌজন্য়ে।
একে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার, তায় আবার তাতে নাচের ভিডিয়ো আপলোড! ‘নীতিভঙ্গ’-এরঅপরাধেই সম্প্রতি ইরানের তরুণী জিমন্যাস্ট মেদে হোজাবরিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ‘সবক’ শিখিয়ে অবাধ্য তারুণ্যকে কোণঠাসা করে দিতে চেয়েছিল সরকার।
দেশের এই নীতিপুলিশির বিরুদ্ধে এ বার প্রতিবাদে মুখর হলেন ইরানি মহিলারা। সরকারকে মুহ্ তোড় জবাব দিতে হাজার হাজার ইরানি মেয়ে প্রকাশ্যে নেচে, সেই ভিডিয়ো আপলোড করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
‘ইসলামি ভাবধারা এ সব সমর্থন করে না’— এই যুক্তি দেখিয়ে ইরান সরকার ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক, টুইটার, ইউ টিউবের মতো জনপ্রিয় সোশ্যাল সাইট। নিষেধাজ্ঞা প্রকাশ্যে মেয়েদের নাচের উপরেও। তাতেও রোখা যাচ্ছে না ইরানি মহিলাদের প্রতিবাদ। প্রয়োজনে প্রক্সি সার্ভার ও ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক (ভিপিএন) ব্যবহার করে সে সব সাইট ব্যবহার করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভের জন্য তৈরি ব্রিটেন
সম্প্রতি ইরানের একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, ১৮ বছরের মেদে ইনস্টাগ্রামে তাঁর নাচের একটি ভিডিয়ো আপলোড করেন। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। মেদের গ্রেফতারের খবর প্রকাশ্যে এলেই দেশ জুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। সরকার ও পুলিশের বিরোধিতা করে প্ল্যাকার্ড হাতে রাস্তাতেও নামেন মেয়েরা। সে বিক্ষোভ সামলাতে সরকার আরও কড়া হতে চাইলেও এই বিপুল প্রতিবাদকে আটকাতে পারেনি ইরান সরকার।
মেদে তাঁর ‘অপরাধ’ স্বীকার করে জানিয়েছেন, নীতিভঙ্গ ও ইসলাম বিরেধিতার কোনও অভিসন্ধি থেকে নয়, বরং সাইটে নিজের কিছু ফলোয়ার বাড়াতেই তিনি এমন ভিডিয়ো আপলোড করেন। যদিও তাঁর এই স্বীকারোক্তি জেলে পুলিশি অত্যাচারের ফসল কি না, তা ঘিরেও শুরু হয়েছে জল্পনা।
আরও পড়ুন: আজই পাকিস্তানে ফিরছেন নওয়াজ শরিফ, হতে পারেন গ্রেফতার