তালিবান বাহিনী। বুধবার পাকিস্তানি সেনার সঙ্গে ফের সংঘর্ষ শুরু হয় তাদের। —ফাইল চিত্র।
ফের সামরিক উত্তেজনা ছড়াল আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের মধ্যে। বুধবার সকালে আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশে পাকিস্তানি সেনা এবং তালিবান বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। অপর এক আফগান প্রদেশ কন্দহরেও দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কাবুলের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এমনটাই জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা এএনআই।
বুধবার সকালে তালিবান প্রশাসন দাবি করে, কন্দহরের স্পিন বলডাক জেলায় হামলা শুরু করেছে পাকিস্তানি বাহিনী। এএনআই অনুসারে, ওই হামলায় বেশ কয়েক জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করে আফগানিস্তান। জখম হন শতাধিক মানুষ। পাকিস্তানের ওই হামলার পরেই তালিবান বাহিনী ‘পাল্টা অভিযান’ চালিয়েছে বলে জানায় আফগানিস্তান।
পাক সেনার দাবি, কন্দহরের স্পিন বলডাকে সংঘর্ষে অন্তত ১৫-২০ জন আফগান তালিবান নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া অপর একটি সংঘর্ষে অন্তত ২৫-৩০ জন আফগান তালিবান নিহত হয়েছেন বলে দাবি পাক সেনার।
কন্দহরে হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে বিবৃতি দিয়েছে তালিবান সরকার। তালিবান বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদিন জানিয়েছেন, কান্দাহারের স্পিন বলডাকে আবার হামলা শুরু করেছে পাকিস্তানি সেনা। ওই হামলায় অন্তত ১২ জন সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ১০০ জন। যদিও আফগানিস্তানের ‘জবাবি হামলা’য় পাকিস্তানে কী কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
তালিবান সামরিক বাহিনী সূত্রে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, ইতিমধ্যে পাকিস্তানি সেনার থেকে স্পিন বলডাক গেট দখল করে নিয়েছে আফগান বাহিনী। ওই এলাকা বর্তমানে পুরোপুরি আফগান বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। তালিবানের ‘জবাবি হামলা’য় পাক বাহিনীর যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও দাবি আফগানিস্তানের।
এ ছাড়া পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া সীমান্তবর্তী আফগানিস্তানের পাকতিকা প্রদেশেও দু’দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পাকতিকা প্রদেশের তুরো এবং উরমুজ় জেলায় সীমান্তলাগোয়া কিছু এলাকায় দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলিতে দাবি করা হচ্ছে।
অপর দিকে ইসলামাবাদের দাবি, আফগানিস্তানই বিনা প্ররোচনায় তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। বুধবার সকালে পাকিস্তানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘পিটিভি’ সেনা সূত্রকে উদ্ধৃত করে দাবি করছে, আফগান বাহিনী ‘বিনা প্ররোচনায়’ হামলা করেছে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে। অপর এক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ দাবি করছে, পাকিস্তানি বাহিনীর হামলায় তালিবানের ট্যাঙ্ক ধ্বংস হয়ে গিয়েছে।