US Defense Expert Arrested

প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত নথি ‘চুরি’, গোপনে সাক্ষাৎ চিনা কর্তাদের সঙ্গেও! ভারতীয় বংশোদ্ভূত কূটনীতিক গ্রেফতার আমেরিকায়

মুম্বইয়ে জন্ম। পড়াশোনা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং পিএইচডি করেন টেলিস। ২০০১ সালে যোগ দেন মার্কিন সরকারে। দক্ষিণ এশীয় নিরাপত্তা এবং মার্কিন-ভারত পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়ে ওয়াশিংটনের অন্যতম শীর্ষ বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচনা করা হত টেলিসকেই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:১৫
Share:

ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক অ্যাশলে জে টেলিস। — ফাইল চিত্র।

অবৈধ ভাবে জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল আমেরিকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক তথা দক্ষিণ এশিয়ার নীতি বিষয়ক উপদেষ্টা অ্যাশলে জে টেলিসকে। মার্কিন বিচার বিভাগ জানিয়েছে, টেলিসের ভার্জিনিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে হাজার হাজার পৃষ্ঠার ‘গোপন’ নথি।

Advertisement

৬৪ বছর বয়সি ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে সংবেদনশীল নথিপত্র মজুত করে রাখা এবং চিনের আধিকারিকদের সঙ্গে গোপনে সাক্ষাতের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। দোষী সাব্যস্ত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২৫০,০০০ মার্কিন ডলার পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে তাঁর, ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২ কোটি ২১ লক্ষ ৮৪ হাজার টাকার কাছাকাছি।

ভার্জিনিয়ার ইস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের মার্কিন অ্যাটর্নি অফিস জানিয়েছে, নানা অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই কূটনীতিকের বিরুদ্ধে ফেডারেল তদন্ত শুরু হয়। শেষমেশ গত সপ্তাহের শেষে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগ, প্রতিরক্ষা-সম্পর্কিত নথিপত্র অবৈধ ভাবে নিজের কাছে রেখে আইন ভেঙেছেন টেলিস। শুধু তা-ই নয়, দাবি, সুরক্ষিত স্থান থেকে গোপন নথিপত্র সরিয়ে নেন তিনি। গোপনে চিনা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখাও করেন। সে সব অভিযোগও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Advertisement

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে বেশ কয়েক বার চিনা কর্তাদের সঙ্গে দেখা করেছেন টেলিস। গত ১৫ সেপ্টেম্বর ভার্জিনিয়ার ফেয়ারফ্যাক্সের একটি রেস্তরাঁয় চিনের এক আধিকারিকের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় তাঁকে। ওই আধিকারিকের হাতে একটি মুখবন্ধ খাম তুলে দেন টেলিস। বদলে চিনের কর্তাদের থেকে উপহার নিতেও দেখা যায় তাঁকে। মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ভাবে বিবৃতি দিয়ে টেলিসের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি ঘোষণা করেছেন মার্কিন অ্যাটর্নি লিন্ডসে হ্যালিগান। হ্যালিগান বলেন, ‘‘অভিযুক্তের আচরণ আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে তাঁর বিরুদ্ধে।’’ যদিও এখনও পর্যন্ত বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই বিশদ খোলসা করেনি ট্রাম্প প্রশাসন। বরং জানানো হয়েছে, তদন্ত এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। অভিযোগগুলি প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত টেলিসকে নির্দোষ বলেই ধরে নেওয়া হবে।

মুম্বইয়ে জন্ম। পড়াশোনা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। তার পর শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এমএ এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন টেলিস। ২০০১ সালে যোগ দেন মার্কিন সরকারে। তার পর থেকে দক্ষিণ এশীয় নিরাপত্তা এবং মার্কিন-ভারত পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়ে ওয়াশিংটনের অন্যতম শীর্ষ বিশেষজ্ঞ হিসাবে বিবেচনা করা হয় টেলিসকেই। অতীতে মার্কিন সরকারের আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেটের সিনিয়র রাজনৈতিক উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জেডব্লিউ বুশের বিশেষ সহকারী হিসাবে কাজ করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদে। আমেরিকা-ভারত অসামরিক পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন টেলিস।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement