হিলারি ক্লিন্টন। ছবি: এপি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে সেটা ছিল দুই সেনাপতির দ্বিতীয় প্রকাশ্য বিতর্ক। কিন্তু হিলারি ক্লিন্টনের মারাত্মক অস্বস্তি হচ্ছিল তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীকে নিয়ে। নিজের বইয়ে যাঁকে হিলারি বলেছেন ‘শয়তান’। বলেছেন, পেছন পেছন আসা ৭১ বছরের বৃদ্ধের নিঃশ্বাস যখন ঘাড়ে পড়ছিল, শিউরে উঠছিলেন তিনি।
ওই বৃদ্ধই ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মৌখিক তরজা থেকে রুশ হ্যাকার হানার অভিযোগ— তিক্ততার চরমে পৌঁছেছিল গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। একটি খবরের চ্যানেলে তাঁর নতুন বই ‘হোয়াট হ্যাপেন্ড’ থেকে সেই সময়েরই এক ঘটনার কথা পড়ছিলেন হিলারি। সেটা অক্টোবর, ২০১৬। সদ্য প্রকাশ্যে এসেছে ২০০৫-এর একটি অডিও টেপ। সেখানে ট্রাম্পকে বলতে শোনা যাচ্ছে, মহিলাদের যৌন নিগ্রহ করেও তিনি কী ভাবে পার পেয়ে গিয়েছেন। হিলারির অস্বস্তির কারণ মূলত সেটাই। তাঁর দাবি, সে দিন একটা ছোট্ট মঞ্চের ওপরেও তাঁর প্রতিটি নড়াচড়া লক্ষ্য করছিলেন ট্রাম্প। টানা তাকিয়ে ছিলেন, মুখভঙ্গিও করছিলেন।
হিলারি লিখছেন, ‘‘এই অবস্থায় কারও কী করা উচিত? শান্ত ভাবে হাসিমুখে তাকিয়ে থাকা, যেন কিছুই হয়নি? নাকি চোখে চোখ রেখে জোর গলায় বলা— দূরে যাও শয়তান! আমি জানি তুমি মেয়েদের সঙ্গে জোর খাটাতে ভালবাসো। কিন্তু আমার সঙ্গে পারবে না।’’
কী করেছিলেন শেষমেশ? হিলারির কথায়, ‘‘মাথা ঠান্ডা রেখেছিলাম, হাসছিলাম। গোলমেলে লোকেদের সামলানোর সারা জীবনের অভিজ্ঞতাটা কাজে দিয়েছিল।’’