প্রতীকী ছবি।
নিখোঁজ বিমান এমএইচ৩৭০-র খোঁজ পেয়েছেন বলে সম্প্রতি দাবি করেছিলেন এক অস্ট্রেলিয় ইঞ্জিনিয়ার। তবে সেই দাবি নস্যাৎ করে দিল অস্ট্রেলিয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যান্ড সেফটি ব্যুরো (এটিএসবি)।
২০১৪ সালে কুয়ালা লামপুর থেকে ২৩৯ জন যাত্রী-সহ নিখোঁজ হয়ে যায় মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বিমান এমএইচ-৩৭০। বহু খোঁজ, বহু তল্লাশির পরেও আর খোঁজ পাওয়া যায়নি সেটির। গত চার বছর ধরেই নিজের উদ্যোগেই বিমানটির খোঁজ চালিয়ে গিয়েছিলেন পিটার
ম্যাকমাহন নামে ৬৪ বছরের ওই মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার।
পিটারের দাবি, দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে বিমান ভেঙে পড়ার উপরে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। সম্প্রতি তিনি নাসা এবং গুগল ম্যাপের সহায়তায় ওই জায়গাটি খুঁজে বের করার চেষ্টা শুরু করেন। পিটার জায়গাটিকে চিহ্নিতও করেন। এই মুহূর্তে উত্তর মরিশাসের কাছে একটি ছোট দ্বীপেই বিমানের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে বলে দাবি তাঁর।
তবে সেই দাবি সরাসরি উড়িয়ে দিয়ে এটিএসবি জানায়, পুরোটাই পিটারের মনগড়া। ২০১৬-১৭ নাগাদ ফেসবুক ও ইমেলের মাধ্যমে এটিএসবির সঙ্গে যোগাযোগ করেন পিটার। এটিএসবি তরফে অবশ্য দাবি, এমএইচ৩৭০-তে হারিয়ে যাওয়া বন্ধু-পরিজনের শোকেই মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন পিটার। তাই এ ধরনের গল্প বানাচ্ছেন।
এটিএসবির এই বক্তব্যে রীতিমতো ক্ষুব্ধ পিটার। তাঁর দাবি, চার মার্কিন তদন্তকারী অস্ট্রেলিয়ায় হারানো বিমানের মামলা তদন্ত করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁরা কোনও জরুরি তথ্য গোপন করছেন। তাই বিষয়টি নিয়ে এগোতে চাইছে না সরকারও।
কিন্তু কেন এই গোপনীয়তা?
পিটারের দাবি, হারিয়ে যাওয়া বিমানটি বুলেটের ক্ষতচিহ্নে ভর্তি, তাই সেই বিমানকে খুঁজে বের করা মানে নতুন করে আরও একটি তদন্তের শুরু হওয়া। যদিও সেই দাবিও কার্যতই উড়িয়ে দিয়েছে এটিএসবি।