স্কটল্যান্ড থেকে তুরস্ক— প্রায় গোটা ইউরোপ জুড়েই মাটির নীচে ছড়িয়ে রয়েছে প্রস্তর যুগের অসংখ্য টানেল।<br> তবে কী উদ্দেশ্যে এটি তৈরি করা হয়েছিল তা নিয়ে আজও ধোঁয়াশা কাটেনি। অনেক গবেষকের মতে,<br> বন্যপ্রাণী বা চরম আবহাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেতেই তা গড়া হয়েছিল। আবার অনেকের দাবি,<br> এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াতের সুবিধার জন্যই এই টানেলগুলি ব্যবহার করা হত।
পেরুর সাকসেওয়ামান মন্দির চত্বরে রয়েছে একের পর এক অসংখ্য পাথর দিয়ে সাজানো স্থাপত্য।<br> দু’টি পাথরের মাঝে একটুও ফাঁক নেই। এমনকী একটি কাগজের টুকরোও গলানো যায় না তাতে।<br> কিন্তু, কী ভাবে তা গড়ে উঠল সে নিয়েও গবেষকদের মধ্যে ধোঁয়াশা রয়েছে।
বলিভিয়ার প্রাচীন শহর তিয়ানাকুতে রয়েছে একটি সূর্যতোরণ। প্রত্নতত্ত্ববিদদের<br> একাংশের মতে, খ্রিস্টপূর্বাব্দের প্রথম শতকে এটি কোনও সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল।<br> তবে এই তোরণের গায়ে খোদাই করা লিপির অর্থ আজও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
চিনের লংয়ুও গুহাগুলি তৈরি করা হয়েছে বেলেপাথর দিয়ে। তবে এ ধরনের গুহা তৈরি করতে<br> হাজার হাজার শ্রমিকের প্রয়োজন। কিন্তু, ইতিহাসের পাতায় সে বিষয়ে কোনও উল্লেখ পাওয়া যায়নি।
মিশরের অসমাপ্ত স্মারকস্তম্ভ নিয়েও গবেষকদের মনে অজস্র প্রশ্ন রয়েছে।<br> একটি বিশাল আকারের পাথরের বুকে ওই স্মারকস্তম্ভ তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল।<br> পাথরে চিড় ধরায় স্তম্ভ বানানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে এর আকৃতি নিয়ে<br> বা কী উদ্দেশ্যে ওই স্মারক বানানো হচ্ছিল সে উত্তর এখনও অজানাই রয়ে গিয়েছে।
জাপানের ইয়োনাগুনিতে সমুদ্রতলের শহর নিয়েও কৌতূহলের শেষ নেই। ডাইভিং প্রশিক্ষক কিয়াশিরো আরাতাকে<br> আচমকাই এটি খুঁজে পান। প্রত্নতত্ত্ববিদদের দাবি, যে সব পাথর থেকে এটি তৈরি করা হয়েছিল তা<br> ১০ হাজার বছর আগে থেকেই জলে ডুবেছিল। অর্থাৎ মিশরের পিরামিডের আগেও এই শহর তৈরি হয়েছিল।<br> কিন্তু, এখানেই উঠছে প্রশ্ন। প্রত্নতত্ত্ববিদদের একাংশের মতে, সেই প্রাচীন কালে মানুষ গুহায় বাস করত।<br> তবে কী ভাবে সমুদ্রের গভীরে গড়ে উঠল এই শহর তার সদুত্তর দিতে পারেননি তাঁরা।
পাকিস্তানের মহেঞ্জোদড়ো নিয়ে আজও বহু প্রশ্নের জবাব মেলেনি।<br> ১৯২২ সালে রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায় এটি আবিষ্কার করেন। তবে কী ভাবে<br> এই উন্নত শহর ধ্বংস হয়ে গেল বা এর বাসিন্দাদেরই বা কী হল সে জবাব আজও অজানা।
১৫০০ সাল নাগাদ বিলুপ্ত হয়ে যায় মোয়া পাখি। অনেকটা উট পাখির মতো দেখতে<br> এই বিশালাকায় পাখিদের দেখা যেত নিউজিল্যান্ডে। অনেকের মতে, সে দেশের মাউরি আদিবাসীদের<br> যথেচ্ছ শিকারের জেরে এই পাখিদের বিলোপ ঘটে। বিংশ শতকে একটি অভিযানে মোয়া পাখির একটি<br> নখ-সহ থাবা উদ্ধার হয়। কে বা কারা যেত তা সযত্নে রেখে দিয়েছে তা আজও উদ্ধার করতে পারেননি গবেষকরা।