Myanmar Conflict

বিদ্রোহীদের হাতে শহর সঁপে দেওয়ার অভিযোগ, মায়ানমারের জুন্টা মৃত্যুদণ্ড দিল তিন সেনাকর্তাকে!

বিদ্রোহী জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্সের হাতে শান প্রদেশের লাউকাই শহরের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার অপরাধে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার স্তরের ওই তিন সেনা অফিসারকে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:৩৮
Share:

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত মায়ানমার। ছবি: সংগৃহীত।

বিদ্রোহী বাহিনীর হাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ শহরের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার অভিযোগে মায়ানমার সেনার তিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকার। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, জানুয়ারি মাসে বিদ্রোহী জোট ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্সের হাতে শান প্রদেশের লাউকাই শহরের নিয়ন্ত্রণ তুলে দেওয়ার অপরাধে সম্প্রতি মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেওয়া হয়েছে ব্রিগেডিয়ার স্তরের ওই তিন সেনা অফিসারকে।

Advertisement

২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। পরবর্তী সময়ে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।

ইতিমধ্যেই মায়ানমারের ৫০ শতাংশের বেশি অংশ বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলির একাংশ জানিয়েছে। বস্তুত, রাজধানী নেপিডো, প্রধান শহর ইয়াঙ্গন এবং আরও কিছু বড় জনপদ-শিল্পাঞ্চলেই এখন জুন্টা সমর্থক সেনার গতিবিধি সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে বলে খবর। বিদ্রোহীদের হামলার মুখে বহু সেনার আন্তসমর্পণ এবং প্রাণ বাঁচাতে ভারত ও বাংলাদেশে পালানোর ঘটনাও ঘটেছে। মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী আউং সান সু চির সমর্থক স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’-এর সশস্ত্র বাহিনী ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্স’ (পিডিএফ) সম্প্রতি বাংলাদেশ সীমান্ত ঘেঁষা রাখাইন প্রদেশের অধিকাংশ সেনাঘাঁটির নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন