Conflict in Myanmar

বাধ্যতামূলক যোগদান সেনায়! মায়ানমারের জুন্টা সরকারের নির্দেশের পর শুরু যুবকদের ধরপাকড়

তাইল্যান্ডে নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী সরকারের সাংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’ জানিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুধু মান্দালয়ের ছ’টি শহরে অন্তত ৮০ জন তরুণ–তরুণীকে আটক করা হয়েছিল। তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে শুরু হয়েছে ধরপাকড়।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩০
Share:

— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিদ্রোহীদের অগ্রগতি রুখতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নীতি নিয়েছে মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার। সে দেশের ‘সক্ষম’ নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করে সপ্তাহ দু’য়েক আগেই জারি হয়েছে সরকারি নির্দেশিকা। আর তার পরেই ‘সক্ষম’ যুবকদের পুলিশ এবং সেনা ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

তাইল্যান্ডে নির্বাসিত গণতন্ত্রপন্থী সরকারের সাংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’ জানিয়েছে, চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে শুধু মান্দালয়ের ছ’টি শহরে অন্তত ৮০ জন তরুণ–তরুণীকে আটক করা হয়েছিল। তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে শুরু হয়েছে ধরপাকড়। সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক যোগদান এড়াতে মায়ানমারের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা শুরু করেছেন বলেও ওই খবরে দাবি। প্রসঙ্গত, গত বছর ইউক্রেন যুদ্ধে সেনার ঘাটতি মেটাতে পুতিনের সরকার ‘বাধ্যতামূলক যোগদান’ নীতি ঘোষণার পরেই রুশ যুবকদের একাংশ পোল্যান্ড, হ্যাঙ্গেরির মতো প্রতিবেশী দেশগুলিতে পাড়ি দিয়েছিলেন।

গত নভেম্বর থেকে সে দেশের তিন বিদ্রোহী গোষ্ঠী— ‘তাঙ ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি’ (টিএনএলএ), ‘আরাকান আর্মি’ (এএ) এবং ‘মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি’ (এমএনডিএএ)-র নয়া জোট ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’ সামরিক জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ওই অভিযানের পোশাকি নাম ‘অপারেশন ১০২৭’। পরবর্তী সময়ে জুন্টা-বিরোধী যুদ্ধে শামিল হয় ‘চিন ন্যাশনাল আর্মি’ (সিএনএ) এবং চায়নাল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স (সিডিএফ), ‘কাচিন লিবারেশন ডিফেন্স ফোর্স’ (কেএলডিএফ), পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ)।

Advertisement

মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শক্তির স্বঘোষিত সরকার ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’, জুন্টা বিরোধী রাজনৈতিক দল ‘শান স্টেট প্রোগ্রেস পার্টি’ বিদ্রোহী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির প্রতি সমর্থন জানিয়েছে। থাইল্যান্ডে নির্বাসিত মায়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নাগরিকদের পরিচালিত সংবাদমাধ্যম ‘ইরাবতী’ খোলাখুলি ‘ব্রাদারহুড অ্যালায়্যান্স’-এর পক্ষে প্রচার করছে। বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মদতপুষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠী ‘দ্য ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টি’ (ইউডব্লিউএসপি) ইতিমধ্যেই কয়েকটি প্রদেশে সমান্তরাল সরকার চালানোও শুরু করে দিয়েছে। বহু সেনাও ইতিমধ্যে শিবির বদলে বিদ্রোহীদের দলে ভিড়েছে বলে দাবি ইরাবতীর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন