UE- Europe

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে পুতিনের দেশ থেকে ইউরোপকে তেল কেনা বন্ধ করতে বললেন ট্রাম্প

শুধু রাশিয়াকেই অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করার কথা বলেলনি ট্রাম্প। চিনের উপরেও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করার জন্য ইউরোপের নেতাদের ‘আহ্বান’ জানিয়েছে আমেরিকা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ০৫:৩৭
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য রাশিয়া থেকে তেল না কেনার জন্য ইউরোপের দেশগুলিকে ‘আহ্বান’ জানিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই সঙ্গে চিনের উপরেও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করতে বলা হয়েছে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি ও ইউরোপ নেতৃত্বদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে ট্রাম্পের দাবি, রাশিয়া থেকে ইউরোপের দেশগুলি তেল না কিনলেই যুদ্ধের অবসান হবে। কারণ, জ্বালানি বিক্রির টাকা থেকেই নাকি মস্কো যুদ্ধের জন্য মূলধন পাচ্ছে। ট্রাম্পের দাবি, মাত্র এক বছরে ইউরোপে জ্বালানি (তেল ও গ্যাস) বিক্রি করে প্রায় ১১০ কোটি ইউরো উপার্জন করেছে মস্কো।

জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে ইউক্রেনের উপরে রাশিয়ার আক্রমণের পরেই পুতিনের দেশ থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইউরোপ। ২০২৮ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে পর্যায়ক্রমে সেই আমদানি বন্ধ করার কথা ভাবা হয়েছে। এই সংক্রান্ত বিষয়ে আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও নেওয়া হয়েছে ইউরোপের তরফে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, শুধু রাশিয়াকেই অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল করার কথা বলেলনি ট্রাম্প। চিনের উপরেও অর্থনৈতিক চাপ তৈরি করার জন্য ইউরোপের নেতাদের ‘আহ্বান’ জানিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানোর জন্য রাশিয়াকে ‘বিশেষ ইন্ধন’ জোগাচ্ছে চিন।

নিউ ইয়র্কের আদালত সম্প্রতি জানিয়েছিল, বিভিন্ন দেশের উপরে ট্রাম্পের চাপানো শুল্কের অধিকাংশই বেআইনি। সেই রায়েকে চ্যালেঞ্জ করে সে দেশের শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। নিজেদের সিদ্ধান্তের নেপথ্যে যুক্তি দিতে গিয়ে উত্থাপন করা হয় ভারতের উপরে চাপানো শুল্ক প্রসঙ্গ। মার্কিন প্রশাসনের দাবি, আন্তর্জাতিক জরুরি অর্থনৈতিক ক্ষমতা আইন প্রয়োগ করে ভারতের উপর শুল্ক চাপানো হয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে জ্বালানি কিনছে বলেই এই পদক্ষেপ। ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে যে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা বন্ধ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। এই পদক্ষেপ আসলে শান্তি ফেরানোর কৌশল।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেপথ্যে ভারত ‘দায়ী’ বলে আমেরিকা দাবি করলেও সেই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেন জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামাতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘রাশিয়ার আগ্রাসী ভূমিকায় রাশ টানতে ও শান্তি স্থাপনে সাহায্য করার ক্ষেত্রে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement