দুই পুরুষ ও এক স্ত্রী ঈগলের সংসার। ছবি: ইউএসএফডব্লিউএস রিফিউজি সিস্টেম-এর টুইটার হ্যান্ডেল থেকে নেওয়া
পরিবার যে কোনও সমীকরণে, যে কোনও মাপে গড়ে উঠতে পারে। এক স্ত্রী ঈগলের সঙ্গে দুই পুরুষ ঈগলের ‘সংসার’ করার কাহিনি আরও একবার সেটা প্রমাণ করল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আপার মিসিসিপি রিভার রিফিউজির দেখাশোনা করেন যাঁরা, তাঁরা জানিয়েছেন, এক বসন্তে ভেলর ১-এর (পুরুষ ঈগল) সঙ্গে ঘর বাঁধে হোপ (স্ত্রী ঈগল)। তবে অচিরেই প্রমাণ হয়ে যায় ভেলর ১ বাবা হিসেবে মোটেই ভাল নয়। তার দু’টি মাত্র কাজ ছিল, ডিমে তা দেওয়া ও খাবার জোগাড় করা। কিন্তু সে দু’টিও সে দায়িত্বের সঙ্গে পালন করত না। ফলে খাবার জোগাড়ের জন্য হোপকে শিকারে বেরোতে হত। এমন পরিস্থিতিতে এক দিন তাদের সংসারে আর এক পুরুষ ঈগল ভেলর ২-এর আগমন ঘটে।
ভেলর ১ কী ভাবছে বা কী করছে তা নিয়ে সত্যিই কোনও মাথাব্যথা ছিল না হোপের। তবে ২০১৬ থেকেই তারা তিন জনে এক সঙ্গে থাকতে শুরু করে। এমনকি ভেলর ১ এর পর থেকে কিছুটা দায়িত্ববানের মতো আচরণ করে। সে খাবার জোগাড় করতে যেত। মনে হয় ভেলর ২-এর উপস্থিতি তার মধ্যে সেই দায়িত্ববোধ বাড়িয়ে তুলেছিল।
বেশ চলছিল সংসার। কিন্তু সুখের সেই সংসার বেশি দিন স্থায়ী হল না। একদিন এই সংসারে দুই বহিরাগত পুরুষ ঈগল আক্রমণ করে। লড়াই চলে প্রায় এক ঘণ্টা। সংসারের দুই পুরুষ ঈগল মাটি কামড়ে লড়াই চালিয়ে যায়। গোটা ঘটনা সেখানে লাগানো ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। কিন্তু সব শান্ত হওয়ার পর দেখা যায় হোপ সেখানে নেই। তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি, কোনও চিহ্নও পাওয়া যায়নি।
এর পরেও পর আক্রমণের মুখে পড়তে হয় ভেলর ১ ও ভেলর ২-কে। প্রতিবার সেই আক্রমণ প্রতিহত করে তারা টিকে থাকে তাদের বাসায়। দু’জনে মিলেই ঈগল ছানাদের বড় করতে থাকে। এক সময় তারা বড় হয়ে উড়ে যায়। কিন্তু ভেলর ১ ও ভেলর ২ এক সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সংসার সম্পূর্ণ নয় স্ত্রী ঈগল ছাড়া। এমনই সময় তাদের সংসারে আসে একটি স্ত্রী ঈগল। তার নাম স্টার।
আরও পড়ুন : আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ব্যাকটিরিয়া! ভীষণ উদ্বেগে নাসা
আরও পড়ুন : এই প্রথম গ্রহাণুর মৃত্যু-দৃশ্য দেখল নাসা!
ফের তিন জনের সংসার গড়ে ওঠে মিসিসিপির তীরে। এ বছর মার্চে ফের তিনটি ডিম পাড়ে স্টার। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সেগুলি ফুটে ছানা বেরবে।