ব্রিয়ান্না ক্লাইয়ের টুইটার হ্যান্ডল থেকে নেওয়া ছবি।
প্রায় এক যুগ আগে দু’জনের দেখা। একটি প্রমোদ তরীর রেস্তোরাঁয়। সেখানেই বন্ধুত্ব। বছর ছয় সাতের দুই শিশুর মধ্যে সেই রাতেই গভীর বন্ধুত্ব হলেও তারপর থেকে আর কেউ কারও খোঁজ রাখেনি। কে কোথায় আছে, কেমন আছে, কী করছে, সেসব ছিল পুরো অজানা। তবে শেষ পর্যন্ত দু’জন ফের কাছাকাছি। বাস্তবে না হোক, অন্তত নেট দুনিয়ায় আবার যোগাযোগ হল দুই বন্ধুর। মিসিসিপির ব্রিয়ান্না ক্রাই এবং হাওয়াইয়ের হেইদি ট্র্যান ফেরমিলে জুড়লেন ইন্টারনেটে। সোশ্যাল মিডিয়ার কল্যাণে।
কীভাবে? সেই যে ডিনারে দেখা হয়েছিল, তার পর থেকে আর কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগেরও চেষ্টা করেনি। কিন্তু কয়েক দিন আগে ব্রিয়ান্না একটি পোস্ট করেন টুইটারে। সংক্ষেপে লেখেন প্রমোদ তরীতে বন্ধুত্ব হওয়া সেই হেইদির কথা।
একসঙ্গে দু’জনের একটি ছবি দিয়ে তিনি লেখেন, ‘‘হে টুইটার, ২০০৬ সালে এই মেয়েটির সঙ্গে একটি প্রমোদ তরীতে দেখা হয়েছিল। সেই রাতের জন্য ওই ছিল আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধু। সেই বন্ধুকে খুঁজে পাওয়ার জন্য সবার সাহায্য চাই। আমি তাকে মিস করি এবং জানতে চাই সে এখন কী করছে। আমরা যাতে আবার মিলিত হতে পারি, তার জন্য রিটুইট করুন।’’
আরও পডু়ন: ইলেকট্রিক শক, যৌনাঙ্গে যন্ত্র ঢুকিয়ে অত্যাচার, কান্নায় ভেঙে পড়লেন মিহিরগুল
তার মধ্যেই একজন রিপ্লাই করেন, ‘‘শুনলাম তুমি আমাকে খুঁজছ।’’ এই এক লাইন লিখেই ২০০৬ সালের সেই প্রমোদ তরীতেই তোলা একটি ছবি পোস্ট করেন বর্তমানে বছর আঠেরোর হেইদি। মিলে যায় সমীকরণ। সার্থক হয় ব্রিয়ান্নার টুইট।
আরও পড়ুন: চিনের প্রাচীর বাঁচাতে ড্রোন
গল্পটা মার্কিন মুলুকের হলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো স্কুল কলেজের বন্ধুর সঙ্গে হঠাৎ যোগাযোগ হওয়া নেটিজেনের সংখ্যা নেহাত কম নয়। সোশ্যাল মিডিয়া না থাকলে স্কুল-কলেজ ছাড়ার পর হয়তো অনেক বন্ধুর সঙ্গে দেখাই হত না। অনেক কিছু খারাপ প্রভাব থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়ার এই গুণের কথা এই সময়ে দাঁড়িয়ে অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই।