কিম
উত্তর কোরিয়ার উপরে চাপ বাড়াতে নৌবহর পাঠিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জবাবে সামরিক প্রদর্শনীতে নতুন ক্ষেপণাস্ত্র হাজির করে কিম জং উন বোঝাতে চাইলেন, মার্কিন মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানার
ক্ষমতা আছে তাঁর সেনাবাহিনীর। তার পরেই আবার উন্নত পরমাণু বোমা পরীক্ষার কথা প্রকাশ করেছে আমেরিকা। চাপ, পাল্টা চাপের এই লড়াইয়ে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই ধারণা কূটনীতিকদের।
সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে উত্তর কোরিয়া। তার মধ্যে তিনটি রকেট গিয়ে পড়েছে জাপানের কাছে সাগরে। তাতে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল আমেরিকা, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া।
উত্তর কোরিয়ার মিত্র দেশ চিন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনা করেছে। আবার ট্রাম্প প্রশাসন বিমানবাহী জাহাজ ‘ইউএসএস কার্ল ভিনসন’-এর নেতৃত্বাধীন নৌবহর পাঠানোর পরেও সমালোচনা করেছে বেজিং। চিন যদি উত্তর কোরিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তবে আমেরিকাই
পদক্ষেপ করবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
আজ কিম জং উনের ঠাকুরদা ও উত্তর কোরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা কিম ইল সুংয়ের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষে পিয়ংইয়ংয়ের কিম ইল সুং স্কোয়ারে সামরিক প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিল উত্তর কোরিয়া সরকার। কালো স্যুট পরে প্রদর্শনীতে হাজির থাকলেও কোনও বক্তৃতা দেননি কিম জং উন। তবে তাঁর সহযোগী চো রিয়ং হো জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী সব ধরনের আক্রমণের জবাব দিতে তৈরি।
আরও পড়ুন: ‘মা-বোমায়’ হত ৯৪ জঙ্গি, দাবি কাবুলের
ওই প্রদর্শনীতে দু’টি নতুন ‘ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল’-এর আবরণ (ক্যানিস্টার) হাজির করেছে কিমের সেনাবাহিনী। ছিল মাঝারি পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রও। পশ্চিমী বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল’ সহজেই আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে পারে। তবে ওই ক্ষেপণাস্ত্র কিমের সেনার হাতে সত্যিই রয়েছে কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছে পশ্চিমী গোয়েন্দাদের।
এর পরেই আবার উন্নত পরমাণু বোমা নিয়ে সামরিক বিমানের মহড়ার খবর প্রকাশ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নেভাদার মরুভূমিতে উন্নত পরমাণু বোমা ‘বি৬১-১২’ নিয়ে এই পরীক্ষা সফল হয়েছে বলে জানিয়েছে পেন্টাগন। সম্প্রতি আফগানিস্তানে আইএস দমনে ‘এমওএবি’ বোমা ব্যবহার করেছে মার্কিন সেনা। পরমাণু অস্ত্র বাদ দিলে এটাই মার্কিন অস্ত্রভাণ্ডারে সবচেয়ে বড়় বোমা। ওই হামলা চালিয়ে ট্রাম্প কিম জং উনকেও বার্তা দিতে চেয়েছেন বলে মনে করেন কূটনীতিকরা।