হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বার্কো।—ছবি সংগৃহীত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে-র পরিকল্পনায় জল ঢেলে দিলেন হাউস অব কমন্সের স্পিকার জন বার্কো। সোমবার তিনি জানান, চুক্তি না পাল্টে সেটিকে আর ভোটাভুটির জন্য পার্লামেন্টে পেশ করতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী। গত সপ্তাহেই টেরেসা বলেছিলেন, তাঁর চুক্তির প্রাথমিক খসড়াটি ফের পার্লামেন্টে পেশ করবেন তিনি। ১৬ জানুয়ারি যখন এই চুক্তিটি প্রথম পেশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁর পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন মাত্র ২০২ জন এমপি, আর বিপক্ষে ৪৩২ জন। তার পরে আরও দু’বার ভোট হয়েছে চুক্তিটি নিয়ে। প্রতিবারই খুবই সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে চুক্তিতে। আর প্রতিবারই হেরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবু টেরেসার আশা, গত দু’মাসের টানাপড়েনে এমপি-রা বুঝতে পেরেছেন, তাঁর প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তি মেনে নেওয়াই ব্রিটেনের সামনে এখন সব থেকে সুবিধাজনক পথ। আর এখানেই আপত্তি স্পিকার বার্কোর। সংবিধানের একটি অতি-প্রাচীন ধারা দর্শিয়ে তিনি বলেন, এ ভাবে পার্লামেন্টের উপর চাপ বাড়াতে পারে না সরকার। চুক্তিতে পর্যাপ্ত পরিবর্তন না আনলে সেটি আর পার্লামেন্টের হাউস অব কমন্সে পেশ করতে দেবেন না তিনি। বার্কোর কথায়, ‘‘একই জিনিসে বারবার ভোটাভুটি করিয়ে সময় নষ্ট করার কোনও মানে হয় না।’’
২৯ মার্চ ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার কথা ব্রিটেনের। টেরেসার প্রাথমিক চুক্তিতে সায় দিয়েছিলেন ইইউ কর্তারা। কিন্তু এ বার তাঁরাও বলে দিয়েছেন, ব্রেক্সিট চুক্তিতে আর কোনও পরিবর্তন মেনে নেবে না ইইউ। ফলে এই মুহূর্তে চুক্তিতে যথেষ্ট পরিবর্তন করাও টেরেসার পক্ষে সম্ভব নয়। আপাতত দু’টো রাস্তা রয়েছে ব্রিটেনের সামনে। এক, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট। যা চান না অধিকাংশ এমপি-ই। না হলে দ্বিতীয় তথা শেষ পথ, দু’মাসের জন্য ব্রেক্সিট পিছিয়ে দিয়ে আরও আলোচনা চালিয়ে যাওয়া। তারই মধ্যে স্পিকারের এই নিষেধাজ্ঞা প্রধানমন্ত্রীর সামনে মসৃণ ব্রেক্সিটের পথ আরও কঠিন করে দিল।