Russia

Ukraine-Russia crisis: ইউক্রেনে বিশেষ সেনা অভিযান শুরু করছে রাশিয়া, ঘোষণা করে দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন

আমেরিকার দাবি, ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর প্রায় ২ লক্ষ সৈন্য সমাবেশ করেছে মস্কো। সেই বিপুল সৈন্য এগিয়ে চলেছে ইউক্রেনের দিকে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের সেনার মোকাবিলায় পুতিনের সাহায্য চেয়েছেন রুশপন্থী ডনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের স্বঘোষিত প্রধান।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

কিভ শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৮:৩৮
Share:

ইউক্রেন বর্ডারের ১০কিমির মধ্যে মোতায়েন করা রয়েছে রাশিয়ার সেনা। ছবি রয়টার্স।

ইউক্রেনের ভূখণ্ডে শুরু হয়ে গেল রাশিয়ার সেনা অভিযান। যা এতদিন অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করছিল পশ্চিমী দুনিয়া, ভারতীয় সময় বৃহস্পতিবার ভোর থেকেই তা পুরোদস্তুর শুরু হয়ে গেল। ইউক্রেনের সেনাকে অস্ত্র ছাড়ার কথা বলেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সংবাদ সংস্থা এএফপি-র দাবি, রুশ সেনা ইতিমধ্যেই ডনবাস এলাকায় (ডোনেৎস্ক ও লুহানস্ক এলাকাকে একত্রে এই নামে ডাকা হয়) সামরিক অভিযান শুরু করে দিয়েছে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানাচ্ছে, ইউক্রেনের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

Advertisement

কয়েক ঘণ্টা আগেই ইউরোপে যুদ্ধের আশঙ্কার কথা শোনা গিয়েছিল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেন্‌স্কির মুখে। অবশ্যম্ভাবী আগ্রাসনের বিরোধিতায় রুশ জনতাকে রুখে দাঁড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। মধ্যরাতে জাতির উদ্দেশে ভাষণে জেলেন্‌স্কি বলেন, ‘‘ইউরোপে একটা বিরাট যুদ্ধ শুরু করতে চলেছে রাশিয়া। রুশ জনতার কাছে আবেদন, আপনারা এই নিষ্ঠুর আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।’’
এরই মধ্যে, ইউক্রেনে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন জেলেন্‌স্কি। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছে। সেখানেও হামলা অবশ্যম্ভাবী বলে মনে করা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান ইতিমধ্যেই পুতিনকে অনুরোধ করেছেন সেনা আগ্রাসন বন্ধ করতে। যদিও সংবাদ সংস্থা রয়টার্স সূত্রে খবর, ডনবাস এলাকায় বিশেষ অভিযানে এখনও অনড় পুতিন।

আর বোধ হয় এড়ানো গেল না রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। রাত পোহানোর আগেই পুরোদস্তুর হামলা শুরু হয়ে গেল। মধ্যরাতে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণে সেই সুরই ধরা পড়ল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের গলায়। আমেরিকাও জানাচ্ছে, ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্তের উত্তর, পূর্ব এবং দক্ষিণ দিক দিয়ে পুরোদস্তর হামলা চালানোর জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছে রুশ সেনা। হামলা এখন কেবল সময়ের অপেক্ষা। যদিও নিজের ভাষণে জেলেন্‌স্কি বার বার দাবি করেছেন, তাঁর দেশ রাশিয়ার কাছে মোটেও আতঙ্কের কারণ নয়। তিনি বলেন, ‘‘ইউক্রেনের জনতা এবং সরকার শান্তি চায়। কিন্তু যদি আমাদের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই জারি থাকবে।’’ এই প্রেক্ষিতেই জেলেন্‌স্কি শুভবুদ্ধি সম্পন্ন রুশদের কাছে পুতিনের আগ্রাসন মোকাবিলায় উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, জেলেন্‌স্কির আবেদনে কাজ হবে কি? আমেরিকার দাবি, ইউক্রেন সীমান্ত বরাবর প্রায় ২ লক্ষ সৈন্য সমাবেশ করেছে মস্কো। সেই বিপুল সৈন্য এগিয়ে চলেছে ইউক্রেনের দিকে। ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের সেনার মোকাবিলায় পুতিনের সাহায্য চেয়েছেন রুশপন্থী ডোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক ও লুহানস্ক পিপলস রিপাবলিকের স্বঘোষিত প্রধান।
সব মিলিয়ে রক্তক্ষয়ী সামরিক অভিযান আর এড়ানো গেল না।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন