রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক জামায়াতের নেতাদের। ছবি: সংগৃহীত।
২০২৪ সালের ৫ অগস্ট জনবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতা হারানোর দিন কয়েক আগে তাদের নিষিদ্ধ করেছিলেন শেখ হাসিনা। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের পর মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি ‘বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী’ (‘জামাত’ নামেই যা পরিচিত)-র দাপট ক্রমশ বাড়ছে। আট মাসের মধ্যে তৃতীয় বার ঢাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করলেন জামায়াতের নেতারা।
ঢাকায় রাষ্ট্রপুঞ্জের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস মঙ্গলবার জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার বিষয়ক উপদেষ্টা হুমা খানও উপস্থিত ছিলেন। রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াতের সদর দফতরে হয় এই বৈঠক। জামায়াতের তরফে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’কে জানানো হয়েছে, বৈঠকে বাংলাদেশের বর্তমান মানবাধিকার ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি, রোহিঙ্গা সংকট, জাতীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচন-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ‘গঠনমূলক আলোচনা’ হয়। বৈঠকে জামায়াতের আমির আসন্ন নির্বাচনকে বাংলাদেশের জন্য ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেন এবং নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য ভাবে সম্পন্ন করতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সহযোগিতা ও কারিগরি সহায়তা কামনা করেন।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামাত নেতা-কর্মীরা প্রকাশ্যে পাকিস্তান সেনার পক্ষে কাজ করেছিলেন। রাজাকার ঘাতকবাহিনীর নেতা হিসাবে গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে একাধিক জামায়াতে নেতার বিরুদ্ধে। হাসিনা জমানায় কয়েক জনের সাজাও হয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট জামায়াতের নির্বাচনী প্রতীক বাতিল করেছিল। গত ৩০ জুলাই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরকার ‘মৌলবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধী’ জামায়াতের তাদের শাখা সংগঠন ইসলামি ছাত্র শিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ৫ অগস্ট পালাবদলের পরে বদলে যায় পরিস্থিতি। এখন তারা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অন্যতম চালিকাশক্তি’ হিসাবে পরিচিত। সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির