সত্যাগ্রহের ইতিহাস পড়াবে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়

আগামী সেমেস্টারেই (অটম সেমেস্টার) শুরু হতে চলেছে এই নতুন পাঠ্যক্রম। এত বছরের পুরনো পাঠ্যক্রমে আচমকা এই বদলের সিদ্ধান্ত কেন? অনেকেই বলছেন, এর পিছনে রয়েছে অন্য এক ইতিহাস।

Advertisement

শ্রাবণী বসু

লন্ডন শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০৩:৪৮
Share:

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত।

তাদের পাঠ্যক্রম নাকি ‘বড্ড বেশি শ্বেতাঙ্গ আর ঔপনিবেশিক’। এই অভিযোগ মাঝেমধ্যেই শুনতে হতো বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী এই বিশ্ববিদ্যালয়টিকে। তাই এ বার ইতিহাসের পাঠ্যক্রম বদলানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তিন বছরের স্নাতক স্তরে ছাত্রছাত্রীদের এখন এমন একটি পেপারে পরীক্ষা দিতে হবে যাতে ভারতবর্ষের স্বাধীনতার ইতিহাস, গাঁধীজির সত্যাগ্রহ আন্দোলন যেমন থাকবে তেমনই থাকবে ষাটের দশকে মার্টিন লুথার কিংগের সিভিল রাইটস মুভমেন্টের ইতিহাসও।

Advertisement

আগামী সেমেস্টারেই (অটম সেমেস্টার) শুরু হতে চলেছে এই নতুন পাঠ্যক্রম। এত বছরের পুরনো পাঠ্যক্রমে আচমকা এই বদলের সিদ্ধান্ত কেন? অনেকেই বলছেন, এর পিছনে রয়েছে অন্য এক ইতিহাস। কয়েক বছর ধরেই ‘হোয়াই ইজ মাই কারিকুলাম হোয়াইট’ নামে প্রতিবাদ আন্দোলন চলছে অক্সফোর্ড-সহ ব্রিটেনের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে। অক্সফোর্ডেরই ওরিয়েল কলেজ কর্তৃপক্ষ এক বার সেসিল রোডসের একটি মূর্তি সরাতে অস্বীকার করেছিলেন। কিন্তু ঔপনিবেশিকতা আর সাম্রাজ্যবাদের প্রতীক রোডসের মূর্তি কেন সরানো হবে না, সে নিয়ে আন্দোলন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা। তাঁরাই প্রশ্ন তোলেন, ‘হোয়াই ইজ মাই কারিকুলাম হোয়াইট’। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যক্রমে শুধুই কেন ঔপনিবেশিক আর সাম্রাজ্যবাদের ইতিহাস পড়ানো হয়, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন পড়ুয়াদের একাংশ। ‘রোডস মাস্ট ফল’ নামে প্রতিবাদ কর্মসূচিও গড়ে তোলেন তাঁরা। দেরিতে হলেও সেই আন্দোলনের প্রভাবেই অক্সফোর্ড কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বদল বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি ভোটে জিতছিই: অমিত

Advertisement

তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রধান মার্টিন কনওয়ে জানিয়েছেন, পাঠ্যক্রমে বৈচিত্র আনতেই এই সিদ্ধান্ত। শিক্ষক তো বটেই, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গেও এ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্টিন।

অক্সফোর্ডের দেখাদেখি অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিও ইতিহাসের পাঠ্যক্রম বদলানো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। লিডসে ইতিমধ্যেই কৃষ্ণাঙ্গ আন্দোলনের ইতিহাস অন্তর্ভুক্তির কথা চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে এক মুখপাত্র বলেন, ‘‘পাঠ্যক্রমে বৈচিত্র আনতে সব রকমের পরামর্শকেই আমরা স্বাগত জানাই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন