US-China Trade War

শুল্কযুদ্ধে ইতি টানতে জেনেভায় বৈঠকে বসল আমেরিকা এবং চিন! রফাসূত্র কি মিলবে?

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানির দিকে। দু’দেশের শুল্ক সংঘাতের আবহে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০২৫ ২২:৩২
Share:

(বাঁ দিকে) আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে শুল্কযুদ্ধ অব্যাহত। এখনও পর্যন্ত দুই দেশই কোনও সমাধান সূত্রে পৌঁছোয়নি। সেই আবহেই শনিবার সুইৎজ়ারল্যান্ডের জেনেভায় দুই দেশের উচ্চপদস্থ কর্তারা নিজেদের মধ্যে বৈঠকে বসেন। তবে কোনও রফাসূত্র বার হয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়!

Advertisement

ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকে চিনের সঙ্গে আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানির দিকে। দু’দেশের শুল্ক সংঘাতের আবহে তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের শুরুর দিকেই চিনা পণ্যের উপর ২০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছিল আমেরিকা। চিনা পণ্যের উপরেও ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপান ট্রাম্প। চিন পাল্টা শুল্ক চাপালে ট্রাম্প আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন এবং মোট শুল্কের পরিমাণ হয় ৮৪ শতাংশ। তার সঙ্গে পূর্বের ২০ শতাংশ শুল্ক যুক্ত করলে মোট শুল্ক দাঁড়ায় ১০৪ শতাংশে। থেমে থাকেননি ট্রাম্পও। তিনি দফায় দফায় চিনা পণ্যের উপ শুল্ক বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেন। ১২৫ শতাংশ করা হয়েছিল, পরে সেই শুল্কের পরিমাণ বাড়িয়ে ১৪৫ শতাংশ করা হয়।

ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের পরই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়। এক অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে যায় আমেরিকা-চিনের বাণিজ্য। সেই আবহেই আশার আলো দেখায় জেনেভার এই বৈঠক। আমেরিকার ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট এবং বাণিজ্য প্রতিনিধি জেমিসন উচ্চপদস্থ চিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

Advertisement

জেনেভার বৈঠকের আগেই শুল্ক কমানোর ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন ট্রাম্প। শুক্রবার নিজের সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে জানান, আমেরিকা চিনের উপর আরোপ করা শুল্ক কমাতে পারে! ১৪৫ শতাংশ থেকে ৮০ শতাংশে শুল্ক হার কমিয়ে আনা হতে পারে বলেও জানান ট্রাম্প। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে জেনেভার বৈঠকের উপর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement