উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সৎভাই কিম জং নাম।
কুয়ালা লামপুরের বিমানবন্দরে আচমকা হামলা হয়েছিল তাঁর উপর। উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সৎভাই কিম জং নামকে খুন করা হয় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে। এক বছর ধরে এর তদন্ত চালিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
গত কাল প্রকাশিত এক অনলাইনে রিপোর্টে ওয়াশিংটন জানিয়েছে, তারা নিশ্চিত যে পিয়ংইয়ংই মারণ রাসায়নিক অস্ত্রে মেরে ফেলেছিল নামকে। গণবিধ্বংসী এই অস্ত্র প্রয়োগের জন্য ফের নতুন করে নিষেধাজ্ঞাও জারি করেছে আমেরিকা।
কিমের কড়া সমালোচক ছিলেন নাম। নিজের দেশ থেকে নির্বাসিতও হতে হয়েছিল তাঁকে। বিতাড়িত হয়ে ম্যাকাওয়ে থাকা শুরু করেন নাম। গত বছর কুয়ালা লামপুর বিমানবন্দরে আচমকা তাঁর উপর হামলা চালায় দুই মহিলা। নামের মুখে বিষাক্ত গ্যাস ঢেলে দিয়েছিল তারা। ধরা পড়ার পরে অবশ্য তারা দাবি করেছিল, ওই সময় কোনও রিয়্যালিটি টিভি শো-য়ের শ্যুটিং হচ্ছিল বলেই জানত তারা। খুনের দায়ে ওই দুই মহিলাই এখন মালয়েশিয়ার জেলে।
মার্কিন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র হেথার নাওয়ার্ট অনলাইন বিবৃতিতে জানিয়েছেন, তাঁর দেশ এই গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করে। সেই সঙ্গেই তাঁর বক্তব্য, ‘‘এ ভাবে আন্তর্জাতিক নিয়ম ভেঙে রাসায়ানিক অস্ত্রের প্রয়োগই প্রমাণ করে উত্তর কোরিয়া সরকার নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য কতটা মরিয়া হতে পারে। আমরা উত্তর কোরিয়ার এই গণবিধ্বংসী অস্ত্র কর্মসূচিকে কোনও ভাবেই সমর্থন করছি না।’’ হেথার জানিয়েছেন, ‘কেমিক্যাল অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল ওয়েপনস কন্ট্রোল অ্যান্ড ওয়ারফেয়ার
এলিমিনেশন অ্যাক্ট অব ১৯৯১’ (সিবিডব্লিউ)-এর আওতায় তাঁরা এই খুনের তদন্ত করিয়েছেন। ২২ ফেব্রুয়ারি তাঁরা নিশ্চিত হন যে নামকে খুনে ভিএক্স নামের এক মারাত্মক রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়েছিল। তার পরেই উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নতুন নিযেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার থেকে সেই নয়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকরও হয়ে গিয়েছে।