প্রতীকী ছবি।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাটিকে অবাধ ও মুক্ত বাণিজ্য অঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছে আমেরিকা। এ দিকে সেখানে আধিপত্য ছড়াচ্ছে চিন। এই অবস্থায় ভারতকে দলে টানতে আগ্রহী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। বুধবার মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসন বলেন, ‘‘ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকাটিকে ‘মুক্ত অঞ্চল’ হিসেবে তুলে ধরতে করতে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করেছি।’’ বিদেশসচিব জানান, মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বলতে তাঁরা বোঝাচ্ছেন যে, সমস্ত দেশ যেন ওই ভৌগোলিক অঞ্চলে নিজেদের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি অবাধে চালিয়ে যেতে পারে।
এই ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা নিয়ে বহুদিন ধরে জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে আমেরিকা। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে টিলারসন বলেন, ‘‘এই ত্রিকোণ সম্পর্ককে আরও জোরদার করার জন্যই ভারতকে যুক্ত করে সেটিকে চতুষ্কোণের চেহারা দেওয়া প্রয়োজন। কারণ একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে উঠে এসেছে ভারত। জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থেও আমরা ভারতের পাশে আছি।’’
দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে আমেরিকার সঙ্গে চিনের টানাপড়েন আছেই। বেজিংয়ের দাবি, ওই এলাকা তাদের। দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে চিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া, ব্রুনেই এবং তাইওয়ানেরও। ব্যস্ত এই জলপথ দিয়ে প্রচুর ব্যবসা-বাণিজ্য হয়। কিন্তু বিতর্কিত এই জলসীমায় সামরিক শক্তি মোতায়েন করেছে বেজিং। তৈরি করেছে কৃত্রিম দ্বীপও। টিলারসন বলেন, ‘‘দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের এই সব কাঠামো তৈরি নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। ওই এলাকায় মুক্ত বাণিজ্যের পাশাপাশি আমাদের বন্ধু দেশগুলির উপরে কী ভাবে এর প্রভাব পড়ছে, দ্বিমত রয়েছে তা নিয়েও।’’
আমেরিকার সঙ্গে চিনের সম্পর্কের ব্যাপারে টিলারসন জানান, মার্কিন প্রশাসন এখন জটিল বিষয়কেও আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসতে পারে। চিনের ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ (ওবর) প্রকল্পের দিকেও তাঁদের নজর রয়েছে। তবে টিলারসন সাফ বলেছেন, ওবর-এর মাধ্যমে চিন নিজের অর্থনৈতিক উন্নতি করতে চায়। এই বিষয়টি নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের কোনও মাথাব্যথা নেই। কিন্তু নিজেদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বেজিং যেন আন্তর্জাতিক নিয়ম-কানুন মেনে করে।