International News

যুদ্ধের পথেই কি এগোচ্ছে আমেরিকা? জল্পনা তুঙ্গে

গতকাল, বৃহস্পতিবার, হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ জন কেলি আশ্বস্ত করেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ ঘটেনি। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক শক্তি নিয়ে আমেরিকার মানুষ উদ্বিগ্ন হতে পারেন। কিন্তু ওদের মোকাবিলা করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ২০:৫০
Share:

মার্কিন বোমারু বিমান বি-১বি। ছবি: এএফপি।

উত্তর কোরিয়া এবং আমেরিকার মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। বার বার উত্তর কোরিয়া পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে। পাল্টা হুমকি দিচ্ছে আমেরিকাও। ইতিমধ্যেই কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে একাধিকবার মহড়া দিয়ে ফেলেছে মার্কিন বোমারু বিমান। সঙ্গত করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান বাহিনী। নিজের দেশের শীর্ষ সামরিক কর্তাদের নিয়ে হোয়াইট হাউজে বৈঠকও করতে দেখা গিয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। সব মিলিয়ে আসন্ন যুদ্ধের আশঙ্কা প্রবল।

Advertisement

গতকাল, বৃহস্পতিবার, হোয়াইট হাউজের চিফ অব স্টাফ জন কেলি আশ্বস্ত করেছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ ঘটেনি। তাঁর কথায়, ‘‘উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান পারমাণবিক শক্তি নিয়ে আমেরিকার মানুষ উদ্বিগ্ন হতে পারেন। কিন্তু ওদের মোকাবিলা করার ক্ষমতা আমাদের রয়েছে।’’ গোটা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন একটা রাষ্ট্র আমেরিকার ক্ষতি করবে, এমনটা হতে দেওয়া হবে না বলেও কেলির আশ্বাস।

আরও পড়ুন:

Advertisement

যুদ্ধ অনিবার্য, পুড়তে হবে আমেরিকাকে, প্রবল হুঙ্কার উত্তর কোরিয়ার

ইউনেস্কো থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে আমেরিকা

মার্কিন প্রশাসনের এক প্রাক্তন শীর্ষকর্তা জিম স্কফ বলেছেন, ‘‘বর্তমান পরিস্থিতি যুদ্ধের ইঙ্গিত দিচ্ছে না।’’ তবে আমেরিকা যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বলে তিনি জানিয়েছেন। উত্তর কোরিয়ার তরফ থেকে কোনও রকম প্ররোচনা এলে যাতে তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া যায়, সে প্রস্তুতিই আমেরিকা নিয়ে রাখছে বলে মত স্কফের। উত্তর কোরিয়ার যে কোনও শাসানির মোকাবিলায় যে আমেরিকা ও তার সহযোগীরা প্রস্তুত, সে কথা বোঝাতেই ওই মহড়া দেওয়া হয়েছিল বলে মত তাঁর।

গত মঙ্গলবারই দক্ষিণ কোরিয়ার দু’টি ফাইটার জেটকে সঙ্গে নিয়ে কোরীয় আকাশসীমায় দীর্ঘক্ষণ চক্কোর কাটতে দেখা গিয়েছিল দু’টি মার্কিন বোমারু বিমানকে। তার আগে সরাসরি যুদ্ধ ঘোষণা না করেও, রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে দাঁড়িয়ে উত্তর কোরিয়াকে প্রচ্ছন্ন হুমকি দিতে দেখা গিয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। গত কয়েক দিনে ট্রাম্পের বেশ কিছু পদক্ষেপ এবং কথাবার্তায় যুদ্ধের প্রস্ততির ইঙ্গিতও ছিল স্পষ্ট। এমনটাই বলছে ওয়াকিবহাল মহল। গত শনিবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ট্রাম্প লিখেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার জন্য শুধু ‘একটাই জিনিস কাজ করবে’। এই বার্তার অর্থ কী? তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল আমেরিকায়। চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছিল আন্তর্জাতিক মহলেও। এর আগে একবার ‘ঝড়ের আগের নীরবতা’ কথাটাও ব্যবহার করেছিলেন ট্রাম্প।

কী ভাবে উত্তর কোরিয়ার চোখ রাঙানির যোগ্য জবাব দেবে ট্রাম্প প্রশাসন? যুদ্ধের পথেই এগোচ্ছে আমেরিকা? নাকি উত্তর কোরিয়ার দিক থেকে আরও বড় কোনও প্ররোচনা পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে ট্রাম্পের দেশ? জল্পনা বাড়ছে গোটা বিশ্বে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন