—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
দেশের নাগরিকদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এমনই দাবি করল মার্কিন বিদেশ দফতরের দূতাবাস সংক্রান্ত বিভাগ। সমাজমাধ্যম এক্সে তাদের পোস্ট, ১০ মে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পরবর্তী নির্দেশ না-আসা পর্যন্ত তাদের দেশের নাগরিকদের বাড়ি থেকে বেরোতে নিষেধ করেছে। সেই মর্মে পাকিস্তানস্থিত মার্কিন দূতাবাসদের কর্মীদেরও সতর্ক করেছে মার্কিন বিদেশ দফতরের ওই বিভাগ। যদিও পাক সংবাদমাধ্যমে সে দেশের সেনাবাহিনীর তরফে এমন কোনও নির্দেশ সংক্রান্ত তথ্য মেলেনি।
পাকিস্তানে মার্কিন দূতাবাস এবং উপদূতাবাসগুলি নিজের কর্মীদের জন্য ‘সতর্কবার্তা’য় বলেছে, ‘‘১০ মে, শনিবার নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে পাকিস্তানি সেনা। পরবর্তী নির্দেশিকা না-আসা পর্যন্ত এই নির্দেশ জারি থাকবে। পাকিস্তানে আমেরিকার দূতাবাস কর্মীদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। শনিবার দুপুরে আবার তা পুনর্বিবেচনা করা হবে।’’ দেশের নাগরিকদের ভারত-পাক সীমান্ত, নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় যেতে আগেই নিষেধ করেছিল আমেরিকার বিদেশ দফতর। সেই নিষেধাজ্ঞাও জারি রয়েছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুই দেশের সংঘাত এবং সন্ত্রাসবাদের কারণেই যে এই নিষেধাজ্ঞা, তা-ও মনে করিয়ে দিয়েছে আমেরিকা।
শুধু তা-ই নয়, পাকিস্তানে যাওয়ার বিষয়টি নাগরিকদের পুনর্বিবেচনা করার কথাও বলেছে আমেরিকার বিদেশ দফতর। নির্দেশিকায় তারা বলেন, ‘‘ সংঘাত হচ্ছে, এমন এলাকা ছেড়ে আমেরিকার নাগরিকদের অবিলম্বে বেরিয়ে আসা উচিত। তা সম্ভব না হলে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেওয়া দরকার।’’ পাকিস্তান ছাড়ার বিমান কখন রয়েছে, সে দিকে মার্কিন নাগরিকদের নজর রাখতে বলা হয়েছে। আমেরিকার বিদেশ দফতর আরও জানিয়েছে, পাকিস্তানে তাদের যে নাগরিকেরা রয়েছেন, তাঁদের পরিস্থিতির উপর নজর রাখার পাশাপাশি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমেও খবরাখবর রাখতে হবে। সব সময় সঙ্গে পরিচয়পত্র রাখতে হবে। সর্বোপরি প্রশাসনের সঙ্গে সহযোগিতা করতে হবে।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁও হামলার পর থেকে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চাপানউতর চলছে। ৭ মে পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারত। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবার রাতে আবার সীমান্ত সংলগ্ন এলাকার ২৬টি জায়গায় ড্রোন হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে পাকিস্তান। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে গুজরাতের ভুজ পর্যন্ত এলাকায় এই হামলা চালানোর চেষ্টা করেছে তারা, যা ব্যর্থ করেছে ভারত। এই আবহে পাকিস্তানি নাগরিকদের ঘরে থাকার পরামর্শ দিল সে দেশের সেনা। তার পরেই নিজের দেশের নাগরিকদের জন্য নির্দেশিকা জারি করল পাকিস্তানে আমেরিকার দূতাবাস।