Charlie Kirk Assassination

অবশেষে ধরা পড়লেন ট্রাম্প-ঘনিষ্ঠ চার্লির খুনে সন্দেহভাজন যুবক! কে ধরিয়ে দিয়েছেন, তা-ও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট

ট্রাম্প জানিয়েছেন, চার্লির খুনের সেই ভিডিয়ো তিনি কখনও দেখতে পারবেন না। নিহত চার্লিকে নিজের ‘পুত্রসম’ বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৯:৩৩
Share:

(বাঁ দিকে) ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে সন্দেহভাজনকে। চার্লি কার্ক (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।

অবশেষে ধরা পড়লেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী চার্লি কির্কের খুনে অভিযুক্ত ব্যক্তি! শুক্রবার ‘ফক্স নিউজ’কে এক সাক্ষাৎকারে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, কার্কের খুনে সন্দেহভাজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছেন তাঁর বাবা। ধৃতের বিষয়ে আরও কিছু তথ্যও প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি, ট্রাম্প জানিয়েছেন, চার্লির খুনের সেই ভিডিয়ো তিনি কখনও দেখতে পারবেন না। নিহত চার্লিকে নিজের ‘পুত্রসম’ বলেও জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এফবিআই (ফেডেরাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন) জানিয়েছে, চার্লির হত্যাকারীর নাম টাইলার রবিনসন। তাঁর বয়স ২২ বছর।

Advertisement

বুধবার আমেরিকার ইউটা ভ্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন ৩১ বছরের চার্লি। সেখানে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। সেই চার্লির খুনে অভিযুক্ত কি ধরা পড়েছে? শুক্রবার ট্রাম্পকে সেই প্রশ্নই করেছিল ‘ফক্স নিউজ়’। তিনি বলেন, ‘‘ওঁকে (সন্দেহভাজন) হেফাজতে পেয়েছি। অনেকটাই নিশ্চিত বলে মনে করি।’’ তিনি জানান, সাক্ষাৎকার দিতে আসার পাঁচ মিনিট আগেই তিনি এই বিষয়ে জানতে পেরেছেন। এর পরে তিনি স্থানীয় প্রশাসনেরও প্রশংসা করেন। তিনি জানান, প্রাথমিক ভাবে খুনের বিষয়ে কোনও তথ্যই ছিল না পুলিশ-প্রশাসনের কাছে। তাঁর কথায়, ‘‘আমাদের কাছে শুধু একটা ক্লিপ ছিল, যেখানে সন্দেহভাজনকে একটা পিঁপড়ের মতো দেখতে লাগছিল। ওই ক্লিপ সে ভাবে কোনও কাজেই আসেনি।’’

শেষ পর্যন্ত কী ভাবে ধরা পড়েন সন্দেহভাজন, তা-ও জানিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি জানিয়েছেন, সন্দেহভাজনের ‘ঘনিষ্ঠ’ এক জনই তাঁকে ধরিয়ে দিয়েছেন। ওই সন্দেহভাজন নিজের বাবার কাছে গিয়েছিলেন। তিনি আমেরিকার মার্শালের কাছে যান। ট্রাম্পের কথায়, ‘‘পুত্রকে বুঝিয়েছেন বাবা। আমি যা শুনেছি, তা-ই বললাম।’’ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানান, সন্দেহভাজনকে এর পরে পুলিশের সদর দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন তিনি। ধৃতের বয়স ২৮-২৯ বছর বলে জানিয়েছেন ট্রাম্প। এফবিআই পরে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, অভিযুক্তের বয়স ২২ বছর।

Advertisement

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তিনি আশা করেন চার্লির খুনে দোষী সাব্যস্ত হলে সেই ব্যক্তি মৃত্যুদণ্ড পাবেন। চার্লি যুবসমাজের ‘কণ্ঠ’ ছিলেন। তাঁকে নিজের ‘পুত্রসম’ বলেও বর্ণনা করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘‘চার্লি মেধাবী ছিলেন। আমাকে টিকটকে সাহায্য করতেন।’’ চার্লির খুনের একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (আনন্দবাজার ডট কম তার সত্যতা যাচাই করেনি)। ট্রাম্প জানিয়েছেন, সেই ভিডিয়ো তিনি কোনও দিন দেখতে পারবেন না।

সম্প্রতি আমেরিকার কলোরাডো থেকে ভার্জিনিয়া পর্যন্ত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফর করার পরিকল্পনা করেছিলেন নিহত রক্ষণশীল নেতা চার্লি। নাম দিয়েছিলেন, ‘দ্য আমেরিকান কামব্যাক ট্যুর’। ওই সফরসূচির অংশ ছিল ইউটার ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনাসভায় যোগদান। সেখানে সমবেত পড়ুয়াদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। তার পর থেকে খোঁজ মিলছিল না অভিযুক্তের। অবশেষে এই ঘটনায় সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানালেন ট্রাম্প।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement