Donald Trump

আমেরিকার আকাশপথে দ্রুত ‘নিশ্ছিদ্র পাহারাদার’ চান ট্রাম্প, তৎপর নিজস্ব ‘আয়রন ডোম’ তৈরিতে!

আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলকে বাড়তি সুবিধা দিয়েছে। সেই রকম একটি আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা চাইছেন ট্রাম্পও। দ্রুত এ বিষয়ে নির্দেশিকাও জারি করবেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:১৯
Share:

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

আকাশপথে ইজ়রায়েলের মতো ‘নিশ্ছিদ্র পাহারাদার’ মোতায়েন করতে চাইছে আমেরিকাও। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের লক্ষ্য সে দেশের নিজস্ব আকাশ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ তৈরি করা। সোমবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, এই ‘আয়রন ডোম’ তৈরির জন্য শী‌ঘ্রই তিনি একটি সরকারি নির্দেশিকা জারি করবেন। মায়ামিতে রিপাবলিকান শিবিরের এক কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমাদের অবিলম্বে ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর জন্য অত্যাধুনিক আয়রন ডোম তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।”

Advertisement

পশ্চিম এশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ইজ়রায়েলকে সব সময় এক পা এগিয়ে থাকতে সাহায্য করেছে তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’। ইজ়রায়েলের জন্য এটি একটি কবচের মতো। ইজ়রায়েলি ভূখণ্ডের দিকে ধেয়ে আসা স্বল্প বা মাঝারি দূরত্বের কোনও ক্ষেপণাস্ত্রকে মাঝ আকাশে অকেজো করতে দিতে পারে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। ‘আয়রন ডোম’ না থাকলে হামাস এবং হিজ়বোল্লা গোষ্ঠীর ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রে ইজ়রায়েলের বিভিন্ন প্রান্ত ক্ষতবিক্ষত হওয়ার আশঙ্কা ছিল।

বস্তুত আমেরিকার সাহায্য নিয়েই এই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর দেশ। আমেরিকার মিসাইল ডিফেন্স এজেন্সির সঙ্গে ইজ়রায়েলের এরোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ় যৌথ ভাবে কাজ করে ‘অ্যারো এরিয়াল ডিফেন্স সিস্টেম’ তৈরি করেছে। ইজ়রায়েলের বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একেবারে উপরের স্তর হিসাবে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ইজ়রায়েলের মতো ‘আয়রন ডোম’ এ বার নিজেদের দেশেও তৈরি করতে চান ট্রাম্প।

Advertisement

ইজ়রায়েলের তৈরি ‘আয়রন ডোম’ যে সর্বক্ষেত্রে সফল হয়েছে এমন নয়। স্বল্প এবং মাঝারি দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র বেশির ভাগ সময়ে অকেজো করতে পারলেও দূরের ক্ষেপণাস্ত্র কাবু করার ক্ষেত্রে অনেক সময়ের পরীক্ষার মুখে পড়তে হয় ইজ়রায়েলি প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে। বাইরে থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র অল্প এবং মাঝারি দূরত্বে থাকলে সে ক্ষেত্রে ‘অ্যারো ২’ সিস্টেম কার্যকরী হয়। অল্প এবং মাঝারি দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্রকে আকাশেই অকেজো করে দিতে পারে এই ব্যবস্থা। তবে দূরের ক্ষেপণাস্ত্রকে কাবু করতে পারে একমাত্র ‘অ্যারো ৩’। ইজ়রায়েলের ‘অ্যারো ৩ ডিফেন্স সিস্টেম’ ২০১৫ সালে প্রথম চালু হয়েছিল। একাধিক সাফল্য পেলেও ইজ়রায়েল স্বীকার করেছে, এই ব্যবস্থায় সিরিয়ার বেশ কিছু ক্ষেপণাস্ত্র আটকানো যায়নি। সেখানে ব্যর্থ হয়েছে ইজ়রায়েলের প্রতিরোধ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement