Donald Trump's Tariff War

বাড়তি ১০ শতাংশ শুল্ক দিতে হবে ভারতকে? দক্ষিণ কোরিয়া, জাপানে ২৫ শতাংশ শুল্কের চিঠি ট্রাম্পের

ট্রাম্প সোমবার ‘ব্রিক্‌স’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উপর ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাশিয়া, চিন, ব্রাজিলের পাশাপাশি ভারতও ‘ব্রিকস’ জোটের সদস্য। ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলা চিন ছাড় পেলেও ভারতের ক্ষেত্রে কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২৫ ২৩:১৮
Share:

ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

বুধবার (৯ জুলাই) শেষ হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘পারস্পরিক শুল্ক’ স্থগিত রাখার ৯০ দিনের সময়সীমা। তার আগে সোমবার ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই এশিয়ার দুই দেশ জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পণ্যের উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তা ছাড়া ইস্পাত, অ্যালুমিনিয়াম এবং মোটরগাড়ি ও তার যন্ত্রাংশের উপর আরও বাড়তি শুল্ক চাপানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই ওই দুই দেশকে চিঠি পাঠানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার পাশাপাশি মালয়েশিয়া, মায়ানমার, কাজাখাস্তান এবং ভিয়েতনামকেও এই সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছেন বলে ট্রাম্প তাঁর সমাজমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে জানান।

Advertisement

পাশাপাশি, ট্রাম্প সোমবার ‘ব্রিক্‌স’ গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির উপর ১০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক আরোপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। রাশিয়া, চিন, ব্রাজিলের পাশাপাশি ভারতও ‘ব্রিকস’ জোটের সদস্য। ওয়াশিংটনের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বাণিজ্যচুক্তি সেরে ফেলা চিন ছাড় পেলেও ভারতের ক্ষেত্রে কী হবে তা এখনও অনিশ্চিত। কারণ সময়সীমা শেষের দু’দিন আগেও বাণিজ্যচুক্তির খসড়া নিয়ে ভারত-আমেরিকা ঐকমত্য হয়নি। সোমবার রাতে (ভারতীয় সময়) হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট বলেন, ‘‘অনেকগুলি দেশের সঙ্গেই বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা চলছে। আমরা আশাবাদী, শেষ পর্যন্ত তা ফলপ্রসূ হবে।’’

মার্কিন বাণিজ্যসচিব হাওয়ার্ড লুটনিক সোমবার জানিয়েছেন, বুধবার স্থগিতাদেশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই বর্ধিত শুল্ক কার্যকর হচ্ছে না। তিনি বলেন, বলেন, ‘‘নতুন হারে শুল্ক ১ অগস্ট থেকে কার্যকর হবে। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখন থেকেই শুল্ক হার এবং চুক্তি চূড়ান্ত করবেন।’’ এখনও পর্যন্ত ট্রাম্প চিন-সহ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি করেছেন। তবে এশিয়া এবং ইউরোপের বড় অংশই এখনও চুক্তির বাইরে। সেই তালিকায় রয়েছে ভারতও।

Advertisement

গত ২ এপ্রিল আমেরিকার বাজারে বিভিন্ন দেশের পণ্যের উপর ‘পারস্পরিক শুল্কে’র কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। তালিকায় চিন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাশাপাশি ভারত বা ইজ়রায়েলের মতো আমেরিকার ‘বন্ধু রাষ্ট্র’ও ছিল। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছিল আমেরিকা। এ ছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, জাপান ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ২৫ শতাংশ, ব্রিটেন ১০ শতাংশ, তাইল্যান্ড ৩৬ শতাংশ এবং সুইৎজ়ারল্যান্ডের উপর ৩১ শতাংশ পারস্পরিক শুল্ক চাপানো হয়েছিল। কিন্তু নতুন শুল্কনীতি কার্যকর হওয়ার আগে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট (যদিও ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামজাত পণ্যে ২৫ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বহাল রাখা হয়)।

গত তিন মাসে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনা হয়েছে আমেরিকার। এর মধ্যে দু’-একটি বাণিজ্যচুক্তির ঘোষণা হলেও, বাকি দেশগুলির ক্ষেত্রে আরও আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে কি? গত শনিবার সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে কোনও মন্তব্য করতে চাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুধু তিনি জানান, ১২টি দেশকে ইতিমধ্যেই চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে, কোন দেশের জন্য কত পরিমাণ আমদানি শুল্ক ধার্য করেছে ওয়াশিংটন। প্রথম ধাপে মোট ১৫টি দেশকে চিঠি দেওয়া হতে পারে বলে সোমবার ইঙ্গিত দিয়েছেন ট্রাম্প।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement