Donald Trump

বিরল খনিজ নিয়ে জাপানের সঙ্গে চুক্তি সেরে নিলেন ট্রাম্প! জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে বসার আগে কি ঘুরিয়ে বার্তা চিনকে?

আগামী বৃহস্পতিবার জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তার আগে মঙ্গলবার বিরল খনিজ নিয়ে জাপানের সঙ্গে চুক্তি সেরে নিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৫ ১৩:৩৯
Share:

মঙ্গলবার টোকিয়োয় আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি। ছবি: রয়টার্স।

জাপান সফর থেকে কি ঘুরিয়ে চিনকে বার্তা দিতে চাইলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প? চলতি সপ্তাহেই চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তার আগে মঙ্গলবার জাপানের সঙ্গে বিরল খনিজ নিয়ে চুক্তির রূপরেখা সেরে নিলেন তিনি। বর্তমানে বিরল খনিজের আন্তর্জাতিক বাজারে বেজিঙের আধিপত্য রয়েছে। জাপান এবং আমেরিকা— দু’দেশই চাইছে চিনা আধিপত্য দূর করতে। এ অবস্থায় জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে ট্রাম্পের এই চুক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

বিশ্ব বাজারে বিরল খনিজ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পণ্য। চাহিদাও বিপুল। স্মার্টফোন থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক গাড়ি, যন্ত্রপাতি, সামরিক সরঞ্জাম— বিবিধ ক্ষেত্রে বিরল খনিজ প্রয়োজন হয়। এই পণ্যে চিন বরাবর সমৃদ্ধ। বিশ্বের মোট বিরল খনিজের প্রায় ৭০ শতাংশের উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে চিনের। এ ছাড়া বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল খনিজের প্রক্রিয়াকরণ হয় চিনে। ফলে প্রায় সব দেশই কোনও না কোনও ভাবে বিরল খনিজের জন্য চিনের উপর নির্ভর করে। গত ৯ অক্টোবর চিনের মাটিতে বিদেশি সংস্থার উত্তোলন এবং প্রক্রিয়াকরণ করা বিরল খনিজের রফতানিতে বেশ কিছু বিধিনিষেধ চাপায় বেজিং। ওই নিয়ন্ত্রণ আরও বৃদ্ধি করার কথা ভাবছে তারা।

এ অবস্থায় আগামী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক জোট ‘এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন’-এর পার্শ্ববৈঠকে মুখোমুখি বসছেন ট্রাম্প এবং জিনপিং। সেখানে বিরল খনিজের প্রসঙ্গও উঠে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তার আগে জাপানের সঙ্গে আমেরিকার এই চুক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। যদিও মঙ্গলবার টোকিয়োয় বৈঠকের পরে ট্রাম্প বা তাকাইচির কেউই প্রকাশ্যে চিন প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি।

Advertisement

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আমেরিকা এবং জাপান উভয় দেশই গুরুত্বপূর্ণ বিরল খনিজের জন্য ন্যায্য বাজার বজায় রাখতে একসঙ্গে কাজ করবে। দুই দেশই বিরল খনিজের সরবরাহ শৃঙ্খল অটুট রাখতে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। ‘ইউরেশিয়া গ্রুপ’-এর পরিসংখ্যান অনুসারে, বিরল খনিজের উপর চিনের আধিপত্য থাকলেও আমেরিকাও প্রায় ১২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এ ছাড়া মায়ানমার, মালয়েশিয়া এবং ভিয়েতনামেরও যথাক্রমে ১২ শতাংশ, আট শতাংশ এবং এক শতাংশের উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement