(বাঁ দিকে) নিউ ইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জ়োহরান মামদানি এবং আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় চিত্রপরিচালক মীরা নায়ারের পুত্র তথা নিউ ইয়র্কের মেয়র পদপ্রার্থী জ়োহরান মামদানিকে নিশানা করলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় বংশোদ্ভূত ডেমোক্র্যাট নেতা মামদানিকে ‘১০০ শতাংশ উন্মাদ কমিউনিস্ট’ বলে কটাক্ষ করলেন ট্রাম্প। নিউ ইয়র্কের মেয়র পদের জন্য ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রার্থীকে ‘ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে’ বলে দাবি ট্রাম্পের। মামদানি নিউ ইয়র্কের মেয়র ভোটের পদপ্রার্থী হতেই বিতর্ক শুরু হয়েছে ভারতেও। কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় শিবির থেকেই মন্তব্য ভেসে আসতে শুরু করেছে।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রাইমারিতে (যেখানে একই দলের দুই বা তার বেশি প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়) ইতিমধ্যে জয়ী হয়েছেন তিনি। তবে মূল নির্বাচন এখনও বাকি। সেখানে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়তে হবে তাঁকে। মামদানি ডেমোক্র্যাট শিবিরের প্রার্থী হিসাবে মনোনীত হতেই তাঁকে নিশানা করেছেন ট্রাম্প। সমাজমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, “শেষ পর্যন্ত এটাই ঘটল। ডেমোক্র্যাটেরা নিজেদের সীমানা অতিক্রম করে গেল। ১০০ শতাংশ উন্মাদ কমিউনিস্ট জ়োহরান মামদানি ডেম (ডেমোক্র্যাট) প্রাইমারি জিতেছেন এবং মেয়র হওয়ার পথে। আমাদের (দেশে) আগেও উগ্র বামপন্থীরা ছিলেন, কিন্তু এটা একটু হাস্যকর হয়ে উঠছে। তাঁকে ভয়ঙ্কর দেখাচ্ছে, তাঁর কণ্ঠস্বর কাঁপছে, তিনি খুব একটা ‘স্মার্ট’ নন।”
ভারতীয় বংশোদ্ভূত মামদানির জন্ম ১৯৯১ সালে উগান্ডার কাম্পালায়। তবে তাঁর বেড়ে ওঠা নিউ ইয়র্ক শহরে। মামদানির পিতা উগান্ডার খ্যাতনামী লেখক মাহমুদ মামদানি। মাহমুদেরও শিকড় ভারতে। মীরাপুত্র মাহমুদকে নিয়ে ভারতেও আলোচনা এবং বিতর্ক শুরু হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস এবং বিজেপি উভয় শিবির থেকেই মীরাপুত্র জ়োরহানের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
অভিনেত্রী তথা বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাউত সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, “জ়োরহানকে ভারতীয়ের তুলনায় পাকিস্তানি বলেই বেশি মনে হয়।” যদিও ওই পোস্টে মীরার প্রশংসা করেছেন বিজেপি সাংসদ। জ়োরহানের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী অভিষেক মনু সিঙ্ঘভিও। সমাজমাধ্যমে তিনি লিখেছেন, জ়োরহান যে দিন মুখ খোলেন, তখন পাকিস্তানের নিজস্ব প্রচারকারী দল ছুটি নিয়ে নেয়। কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, “নিউ ইয়র্ক থেকে বানানো গল্প বলে চিৎকার করে, এমন ‘বন্ধু’ থাকলে ভারতের আর শত্রুর প্রয়োজন নেই।”