উঠল না শাটডাউন

শাটডাউন তুলতে দু’টি বিলের প্রস্তাব এসেছিল। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে। দু’টিই খারিজ করে দিয়েছে সেনেট। আর তাই ৩৪ দিনে পা দিয়েও অচলাবস্থা কাটল না মার্কিন সরকারের অধিকাংশ কাজকর্মে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:২১
Share:

প্রাচীরের ‘ডাউন পেমেন্ট’ পেলে তবেই তিনি কোনও বিলে সই করবেন বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।—ছবি এএফপি।

শাটডাউন তুলতে দু’টি বিলের প্রস্তাব এসেছিল। রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে। দু’টিই খারিজ করে দিয়েছে সেনেট। আর তাই ৩৪ দিনে পা দিয়েও অচলাবস্থা কাটল না মার্কিন সরকারের অধিকাংশ কাজকর্মে।

Advertisement

দেশের দক্ষিণ সীমান্তে প্রাচীর তুলতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫৭০ কোটি ডলারের সাহায্য মঞ্জুরি চান মার্কিন কংগ্রেসের কাছ থেকে। যা কোনও অবস্থাতেই মানতে নারাজ ডেমোক্র্যাটরা। অন্তত ৮ লক্ষ সরকারি কর্মী ২২ ডিসেম্বর থেকে বেতন পাচ্ছেন না। বৃহস্পতিবার পর পর ভোটাভুটিতে সেনেট প্রথমে রিপাবলিকানদের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়।

তাঁরা বলছিলেন, সরকার চালানোর অর্থ তখনই দেওয়া হবে যখন প্রাচীর তোলার অর্থ কংগ্রেস মঞ্জুর করবে। রিপাবলিকানদের পরে সেনেট ফিরিয়ে দেয় ডেমোক্র্যাটদেরও। তাঁরা প্রাচীর তৈরির বিষয়টি বাদ দিয়ে কথা এগোতে চান। শেষ পর্যন্ত কোনও পক্ষই নিজেদের বিল পাশের জন্য প্রয়োজনীয়৬০টি ভোটে পৌঁছতে পারেনি।

Advertisement

রিপাবলিকানদের প্রস্তাব ৫০-৪৭ ভোটে খারিজ হয়। ডেমোক্র্যাটদের প্রস্তাব তবু কিছুটা এগিয়েছিল। তাঁদের পাশে দাঁড়ান ছ’জন রিপাবলিকান সেনেটরও। তবু তা-ও ৫২-৪৪ ভোটে হেরে যান তাঁরা। দুই দলের সেনেটের নেতারা এর পরে তিন সপ্তাহের জন্য ফেডারেল এজেন্সি খুলতে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অবশ্য এ সবে হেলদোল নেই। হোয়াইট হাউস থেকে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, প্রাচীরের ‘ডাউন পেমেন্ট’ পেলে তবেই তিনি কোনও বিলে সই করবেন। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ওরা প্রাচীরের জন্য ডাউন পেমেন্টটা করুক। মানুষও চায় যে প্রাচীরটা হোক।’’ একই সুর হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব সারা স্যান্ডার্সের গলায়। তিনি বলেছেন, ‘‘প্রাচীরের জন্য বড়সড় ডাউন পেমেন্ট এলে তবেই কোনও প্রস্তাব কাজে দেবে।’’

হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি ফের বলেছেন, ‘‘ট্রাম্পের প্রস্তাব অযৌক্তিক।’’ যা শুনে প্রেসিডেন্টের মন্তব্য, ‘‘প্রায় সবাই মেনে নিচ্ছেন, আমাদের সীমান্তে নিরাপত্তা বজায় রাখতেই হবে। আর তার জন্য সীমান্তে প্রাচীরও তুলতে হবে। প্রাচীর ছাড়া সীমান্তের সুরক্ষা সম্ভব নয়।’’

আপাতত দুই প্রস্তাবই খারিজ হয়ে যাওয়ায় ওয়াশিংটনে অচলাবস্থা কাটার রাস্তা ফের বন্ধ। শাটডাউন ৩৪ দিনে পড়লেও প্রেসিডেন্ট অথবা ডেমোক্র্যাট নেতারা মীমাংসার দিকে এগোতে চাইছেন না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সরকারি কর্মীরা এ মাসের শেষেও বেতন পাবেন না। বিমানবন্দর, এফবিআই, খাদ্যসুরক্ষা খতিয়ে দেখার মতো কাজ— সবই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

এক মার্কিন চ্যানেলের দাবি, হোয়াইট হাউস এখন দক্ষিণ সীমান্তে ‘জাতীয় জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করতে প্রেসিডেন্টের জন্য খসড়া ঘোষণাপত্র তৈরি করছে। ট্রাম্প নিজেও জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণার কথা উড়িয়ে দেননি। তিনি জানিয়েছিলেন, জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রককে প্রাচীর তোলার নির্দেশ দিতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement