গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
সিরিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটি কমানোর সিদ্ধান্ত নিল ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। সিরিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষ মার্কিন দূত টমাস বারাক বলেছেন, ‘‘আমাদের বর্তমানে সিরিয়ায় আটটি সেনাঘাঁটি রয়েছে। তা কমিয়ে একটি করা হবে।’’
সিরিয়ার উপর থেকে ওয়াশিংটনের ‘সমস্ত রকম নিষেধাজ্ঞা’ প্রত্যাহারের কথাও জানিয়েছেন টমাস। পাশাপাশি, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নেওয়া সুন্নি জিহাদিদের নতুন সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাবেও আমেরিকার সায় আছে বলে জানান তিনি। চেচেন, চিনা, উইঘুর, আরবীয় জিহাদিরা সিরিয়া সেনার নুতন ৮৪ নম্বর ডিভিশনে স্থান পাবেন।
গত ডিসেম্বরে সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর রাজধানী দামাস্কাস দখল এবং প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন ঘটেছিল। আসাদ সপরিবার পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন মিত্র দেশ রাশিয়ায়। সেই গৃহযুদ্ধপর্বে এইচটিএস বাহিনীকে ধারাবাহিক মদত দিয়েছিল তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিচেপ তায়িপ এর্ডোগানের সরকার।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এর পরেই প্রাক্তন আল কায়দা নেতা তথা সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শরা কুর্দ এবং ক্ষমতা দখলকারীদের নিয়ে গঠিত সশস্ত্র সংগঠন ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’-এর কমান্ডার মাজ়লুম আবদির সঙ্গে মৈত্রী চুক্তি করেছিল তুরস্ক। তাতে বিদেশি জিহাদিদের নবগঠিত সিরিয়া সেনাবাহিনীর অন্তর্ভুক্ত করার প্রসঙ্গ ছিল। গৃহযুদ্ধ পর্বে সুন্নি সশস্ত্র বাহিনী এইচটিএস-এর হয়ে প্রায় চার হাজার বিদেশি জিহাদি লড়াই করেছিলেন শিয়া নেতা আসাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে। এ বার তাঁদেরই অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে নতুন সেনায়। এর ফলে সিরিয়ায় সংখ্যালঘু শিয়া এবং দ্রুজদের উপর অত্যাচারের মাত্র আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।