প্রতীকী ছবি।
হ্যাঁ, আগামী ৫ নভেম্বরের পরেও ইরান থেকে অপরিশোধিত তেল কিনতে পারবে ভারত। আর তা কেনার জন্য মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়তে হবে না ভারতকে। শুধুই ভারত নয়, আরও সাতটি দেশকে এই বিশেষ ছাড় দিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। তাদের মধ্যে রয়েছে জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়াও। মার্কিন প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন, চিনকে এই বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে বেজিংয়ের সঙ্গে এখনও আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছে ওয়াশিংটন। তবে চিনকে এখনও পর্যন্ত ছাড় পাওয়া আটটি দেশের তালিকায় রাখা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চিন ছাড়া বাকি কোন চারটি দেশকে ট্রাম্প প্রশাসন ছাড়ের তালিকায় রেখেছে, তা অবশ্য জানা যায়নি।
তবে ‘ওপেক’ জোটের নেতা ইরানের ওপর ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করল মার্কিন প্রশাসন। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন বিদেশ দফতরের এক পদস্থ কর্তা শুক্রবার এ কথা জানিয়ে বলেছেন, ‘‘তেল বেচা অর্থে ইরান যাতে সন্ত্রাসবাদীদের মদত দিতে না পারে, তার জন্য ছাড় পাওয়া দেশগুলির তেল আমদানির পরিমাণ বেঁধে দেওয়া হবে। তাদের বলা হবে, উত্তরোত্তর সেই পরিমাণ কমাতে বলা হবে। যাতে ইরান-সহ ওপেক জোটের দেশগুলি তেলের দাম বাড়াতে না পারে।’’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারির দু’-দু’টি খাঁড়া ঝুলছিল এত দিন। একটি, আগামী ৫ নভেম্বরের পরেও ইরান থেকে ভারতের তেল আমদানির জন্য। অন্যটি, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা (মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম) ‘এস-৪০০’ কেনার জন্য। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত ইরান থেকে তেল আমদানির জন্য ভারতের ওপর মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারির আশঙ্কা দূর করল। একই সঙ্গে ইঙ্গিত দিল, ‘এস-৪০০’ কেনার জন্যেও হয়তো ভারতের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি না করতে পারে ওয়াশিংটন। এ ব্যাপারে কিন্তু ইতিমধ্যেই চিনের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন- রামমন্দির বানাতে না দিলে ’৯২-র মতো ফের আন্দোলন, হুমকি আরএসএস-এর
আরও পড়ুন- ঘরে ফিরলেন ইরানে আটক ১১ শ্রমিক
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, ইরান থেকে তেল আমদানির দায়ে বরাবরের জন্য এই আটটি দেশকে ছাড় দিচ্ছে না ওয়াশিংটন। ছাড় পাওয়া দেশগুলিকে বরং একটা শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা তাঁদের তেল আমদানির পরিমাণ ধীরে ধীরে কমিয়ে এনে উত্তরোত্তর স্বনির্ভর হয়ে উঠতে পারে।