আসল নন এনারা। ছবি: এএফপি
গত বছরের জুনে উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উনের সঙ্গে প্রথমবার বৈঠকে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই বৈঠকের আট মাস পর আবার মিলিত হচ্ছেন এই দুই রাষ্ট্রপ্রধান। ভিয়েতনামের হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের আসন্ন বৈঠককে কেন্দ্র করে চর্চা তুঙ্গে এখনই। তবে এই আলোচনা শুরু হওয়ার আগেই আরও বেশি করে চর্চায় এসেছেন নকল ট্রাম্প ও কিম। হ্যানয়েই রীতিমতো ‘সম্মেলন’ও করেছেন তাঁরা। কিন্তু এ বার সেই নকল কিমকে দেশে ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিল হ্যানয় পুলিশ।
উত্তর কোরিয়ার শাসকের মতো দেখতে নকল এই কিমের আসল নাম হাওয়ার্ড এক্স। সোমবার তাকে আটকের পর হ্যানয় থেকে হংকংগামী একটি ফ্লাইটে তুলে দিয়েছেন ভিয়েতনামের পুলিশ। গত সপ্তাহেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো দেখতে রাসেল হোয়াইটকে নিয়ে ভিয়েতনামে পৌঁছন হাওয়ার্ড। সেখানে পৌঁছে হ্যানয়ের অপেরা হাউস ভাড়া করে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি ও ভাড়াটে নিরাপত্তা রক্ষীদের নিয়ে একটি ‘নকল সম্মেলন’ করেন তারা। আগামী ২৭-২৮ ফেব্রুয়ারি হ্যানয়ে এক সম্মেলনে মিলিত হবেন আসল ট্রাম্প ও কিম।
শুক্রবার হাওয়ার্ডকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে হ্যানয় পুলিশ। পেশায় তিনি একজন কমেডিয়ান। থাকেন অস্ট্রেলিয়ায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে ফিরে যেতে বলা হয়। ভিয়েতনামের অভিবাসন বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে হাওয়ার্ডের ভিসা অবৈধ।
আরও পড়ুন: এক ট্রেনেই হ্যানয়, যাত্রা শুরু কিমের
যদিও এই ব্যাপারে বেজায় ক্ষুদ্ধ হাওয়ার্ড। ভিয়েতনামের কর্মকর্তাদের রসিকতা বোঝবার ও রাজনীতির ঊর্ধ্বে ওঠার ক্ষমতা নেই বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনকি, কিম জং উনের মতো দেখতে বলেই তাঁকে দেশ ছাড়তে বলবার প্রধান কারণ বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে হাওয়ার্ডকে ফেরত পাঠানো হলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতো দেখতে রাসেল হোয়াইটকে ভিয়েতনামে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তবে হ্যানয়ে কিম-ট্রাম্প সম্মেলনের আগে জনগনের মধ্যে যেতে পারবেন না তিনি।
আরও পড়ুন: ফের তথ্যপ্রমাণ চেয়েও মোদীর কাছে ‘শান্তির সুযোগ’ চাইলেন ইমরান
এর আগে হ্যানয়ের রাস্তায় যখন হাওয়ার্ড ও রাসেলকে দেখা যায়, তখন অনেকেই তাঁদের ঘিরে উৎসাহ দেখাতে থাকেন। তাঁদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন অনেকে। হাওয়ার্ডের মতে আসল কিমের থেকে তাঁর ক্ষমতা কম হলেও, তাঁর রসবোধ আসল কিমের থেকে অনেক বেশি। ভিয়েতনাম ছাড়ার আগে নকল ট্রাম্পকে চুম্বনও করেন তিনি। রাসেল ও হাওয়ার্ড দু’জনেই বলেছেন যে রাজনীতিকে মহান করতেই ওই দেশে এসেছিলেন তাঁরা।