Whales

ফের তিমির রক্তে লাল হয়ে উঠল ডেনমার্কের সমুদ্র

গত ২৯ মে টর্সভান উপসাগরে ১৪৫টি তিমিকে হত্যা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাতটি বিশেষ প্রজাতির ডলফিন, যাদের একটি দিক সাদা, তাদেরও হত্যা করা হয়

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৯ ২০:৪৮
Share:

তিমির রক্তে লাল হয়ে উঠেছে সমুদ্র। ছবি : এএফপি।

ডেনমার্কের ফারো দ্বীপেএ বছরও মারা পড়ল প্রায় দেড়শোতিমি ও কয়েকটি ডলফিন। তিমির রক্তে লাল হয়ে ওঠে ডেনমার্কের ফারো দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন সমুদ্র। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই পরিবেশবিদ থেকে সাধারণ মানুষ ফের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন।

Advertisement

গত ২৯ মে টর্সভান উপসাগরে ১৪৫টি তিমিকে হত্যা করা হয়েছে। একই সঙ্গে সাতটি বিশেষ প্রজাতির ডলফিন, যাদের একটি দিক সাদা, তাদেরও হত্যা করা হয়। তবে এটাই প্রথম নয়, প্রতিবছরই গ্রীষ্মের সময় এই তিমি হত্যা চলে ডেনমার্কের সুদূর দ্বীপগুলিতে। পরিসংখ্যান বলছে, গোটা গ্রীষ্মকালজুড়ে প্রতি বছর প্রায় ৮০০ তিমি হত্যা করা হয়। শীতের সময় খাদ্য ও চর্বি-সহ অন্যান্য উপাদান সংগ্রহ করাই এই তিমি মেরে ফেলার অন্যতম কারণ।

ডেনমার্ক প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বহির্বিশ্বের কাছে এই তিমি হত্যা নাটকীয় মনে হলেও ফারো দ্বীপের অধিবাসীদের কাছে এটিখাদ্যের লড়াই। এটা তাঁদের জীবনধারণের অঙ্গ।

Advertisement

ডেনমার্ক প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, মৃত তিমিগুলি থেকে কয়েকশো কিলোগ্রাম করে মাংস ও চর্বি পাওয়া যায়। যদি এই মাংস না পাওয়া যায়, তবে বিদেশ থেকে তা আমদানি করতে হবে।

আরও পড়ুন : নিজস্ব শৈলীতে ইদের শুভেচ্ছা জানালেন বালুশিল্পী সুদর্শন পট্টনায়ক

আরও পড়ুন : ইউরোপের প্রথম সমুদ্রতলের রেস্তরাঁ দেখুন ভিডিয়োতে

তিমিগুলিকে প্রথমে বোটের সাহায্যে সমুদ্রতটের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর সুযোগ বুঝে ঘাড়ের কাছে আঘাত করা হয়। যাতে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে মারা যায়।

এই প্রথা বন্ধ করার জন্য ইতিমধ্যেই আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছে।এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩ লক্ষ মানুষ ব্লু প্ল্যানেট সোসাইটির মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করেছেন এই তিমি হত্যা বন্ধের দাবিতে। ফারোর পাশাপাশি জাপানেও তিমি হত্যা হয়। সেখানেও এই প্রথা বন্ধের দাবি তোলা হয়েছে।আন্দোলনকারীদের দাবি, বিশ্ব জুড়ে প্রতি বছর প্রায় ১ লক্ষ ডলফিন ও ছোট তিমি হত্যা করা হয়। এটা বন্ধ হওয়া উচিত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন