Ukraine-Russia War

জ়েলেনস্কিকে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব পুতিনের! যুদ্ধবিরতির পথে কি যাচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন?

৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছিল ইউক্রেন এবং তার সহযোগীরা। সেই তালিকায় ছিল ফ্রান্স, জার্মানি, পোলান্ড, ব্রিটেনের মতো ইউরোপীয় দেশগুলি। সেই আবহেই আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ মে ২০২৫ ১৩:৩৮
Share:

(বাঁ দিকে) ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

এ বার কি রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে চলমান যুদ্ধে ইতি পড়তে চলেছে? দীর্ঘ তিন বছর ধরে দুই দেশের লড়াই থামার সম্ভাবনা তৈরি হল রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বার্তায়। কোনও মধ্যস্থতাকারী নয়, সরাসরি ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন তিনি। আগামী ১৫ মে ইস্তানবুলে সেই আলোচনা বৈঠক হওয়ার কথাও জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে তাঁর প্রস্তাবে ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সরকার সাড়া দেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির দাবি তুলেছিল ইউক্রেন এবং তার সহযোগীরা। সেই তালিকায় ছিল ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, ব্রিটেনের মতো ইউরোপীয় দেশগুলি। আগামী সোমবার থেকেই তা কার্যকর করার আহ্বান জানানো হয়। সেই দাবির কয়েক ঘণ্টা পরেই রবিবার মস্কোর তরফে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেওয়া হল।

ইউক্রেন সরকারের সূত্রে জানানো হয়েছে, নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে সমর্থন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তা-ই নয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার হুমকিও দিয়েছে ফ্রান্স, জার্মানির মতো দেশগুলি। তার পরই রবিবার পুতিনের তরফে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হল। তবে পুতিন তাঁর প্রস্তাবে কখনওই ইউরোপীয় দেশগুলির যুদ্ধবিরতির দাবির কথা উল্লেখ করেননি। তবে রাশিয়াবিরোধী মন্তব্য এবং ইউরোপীয় দেশগুলির ‘হুমকি’র নিন্দা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

পুতিনের কথায়, ‘‘কিভ যদি কোনও পূর্বশর্ত ছাড়া সরাসরি আলোচনা শুরু করতে চায়, তবে আমরা রাজি। আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ইস্তানবুলে আলোচনায় বসার জন্য ইউক্রেন কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দিয়েছি।’’ এই আলোচনার প্রস্তাবের বিষয়ে ইউক্রেনের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

জ়েলেনস্কি আগেই জানিয়েছিলেন, তিনি শান্তি আলোচনার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। তবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরই সেই আলোচনা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। যদিও পুতিন যুদ্ধবিরতি নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করেননি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। টানা তিন বছরে বার বার যুদ্ধ থামানোর একাধিক চেষ্টা হয়েছে। সরাসরি আলোচনাতেও বসেছেন দুই দেশের কর্তারা। কিন্তু কেউই যুদ্ধের পথ থেকে সরে আসেনি। সেই আবহে এ বার পুতিন আরও এক বার ইউক্রেনকে সরাসরি আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিলেন। মস্কো চায়, যুদ্ধের কারণগুলি নির্মূল করা। পাশাপাশি, দীর্ঘমেয়াদী শান্তির ফেরানোর ব্যাপারেও উদ্যোগী পুতিন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement