রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল চিত্র।
দেশ শাসন করছেন ১৮ বছর ধরে। কিন্তু তাঁকে হটানো যাচ্ছে না! বিরোধী পক্ষ যদি যথেষ্ট শক্তিশালী না হয়, তা হলে তিনি কী করবেন—প্রশ্ন তুলেছেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
আগামী বছরের মার্চে রাশিয়ায় নির্বাচন। তার আগে মস্কোর কনভেনশন হল-এ সাংবাদিকদের সামনে বার্ষিক বক্তৃতা দিচ্ছিলেন পুতিন। সেখানেই এই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেছেন, আগামী নির্বাচনী প্রচারে তিনি রুশ অর্থনীতির উপরেই মূল জোর দিতে চান। নিজের হাতে গড়ে তোলা দল ইউনাইটেড রাশিয়া-র হয়েও এ বার দাঁড়াচ্ছেন না তিনি। নির্দল প্রার্থী হিসেবেই লড়বেন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি নিজে তো বিরোধী তৈরি করে দিতে পারি না। শুধু বলতে পারি, অর্থনৈতিক জগতের মতো আমাদের রাজনৈতিক জগতেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকা উচিত।’’
১৯৯৯ সালে ক্ষমতায় এসেছিলেন। তার পর থেকে যে ১৩ বছর ধরে পুতিন প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন, সে সব বছরে তিনি প্রতি ডিসেম্বরে এই সাংবাদিক বৈঠক করেন। কখনও কখনও এই কথাবার্তা চার মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে যায়। রাশিয়া ছাড়াও বাকি দেশ থেকে বিভিন্ন সাংবাদিক পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন। এ বার রুশ প্রেসিডেন্ট তাঁদের জানিয়েছেন, ‘‘মানুষ অনেক কিছু নিয়ে হতাশ। তাঁদের হতাশ হওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মানুষ যখন তুলনা করে দেখেন এবং বিরোধীদের দিকে তাকান, তাঁদের সন্দেহ হয়।’’
একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ৬১ শতাংশ মানুষ পুতিনকেই ভোটে জেতাতে চান। ৮ শতাংশ সমর্থন নিয়ে তাঁর পিছনে রয়েছেন অতি–জাতীয়তাবাদী ভ্লাদিমির ঝিরিনোভস্কি। কমিউনিস্ট নেতা গেন্নাডি জুগানভ পেয়েছেন ৬ শতাংশ জনতার সমর্থন। সবার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ভোটে লড়ার দাবিতে শিরোনামে এসেছিলেন টিভি উপস্থাপিকা কেসিনা সবচাক। তাঁকে ১ শতাংশ মানুষ সমর্থন করছে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব আলেক্সেই নাভালনি এ বারের ভোটে দাঁড়াতেই পারছেন না। অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। নাভালনির দাবি, সবটাই সরকারি ষড়যন্ত্র।