চালকের আসনে সৌদি রাজকন্যা, বিতর্ক দেশ জুড়ে

যে দেশে মেয়েদের এখনও গাড়ি চালানোর অধিকার নেই, সেই সৌদি আরবের রাজকুমারী হাই হিল জুতো পরে হুড খোলা গাড়ির চালকের আসনে বসে ছবি তুললেন! রাজকুমারী হায়ফা বিন্ত আবদুল্লাহ্ আল-সৌদের এই ছবিটি ‘ভোগ’ পত্রিকার আরব সংস্করণে  জুন মাসের প্রচ্ছদে প্রকাশিত হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০১৮ ০২:৫৩
Share:

এই ছবি ঘিরেই বিতর্ক

যে দেশে মেয়েদের এখনও গাড়ি চালানোর অধিকার নেই, সেই সৌদি আরবের রাজকুমারী হাই হিল জুতো পরে হুড খোলা গাড়ির চালকের আসনে বসে ছবি তুললেন! রাজকুমারী হায়ফা বিন্ত আবদুল্লাহ্ আল-সৌদের এই ছবিটি ‘ভোগ’ পত্রিকার আরব সংস্করণে জুন মাসের প্রচ্ছদে প্রকাশিত হয়েছে। আর তার পরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক।

Advertisement

মাস কয়েক আগেই সৌদি আরবে মহিলাদের গাড়ি চালানোর অধিকার চেয়ে এবং বিভিন্ন পিতৃতান্ত্রিক নিয়মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করার ‘অপরাধে’ গ্রেফতার হয়েছিলেন ১১ জন আন্দোলনকারী। আর এই পরিস্থিতিতে রাজকুমারীর এই ছবি কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না সাধারণ মানুষ। অভিযোগ, সরকারি সংবাদমাধ্যমের একাংশ ওই আন্দোলনকারীদের ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়েছিল। গত সপ্তাহে তাঁদের মধ্যে চার জনকে মুক্তি দেওয়া হলেও বাকিদের এখনও ভাগ্য নির্ধারণ হয়নি। এর প্রতিবাদে প্রচ্ছদে রাজকুমারীর ছবিটি ফোটোশপ করে ওই আন্দোলনকারীদের মুখ বসিয়ে টুইটারে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সৌদির মহিলারা।

সৌদি আরবের রক্ষণশীল ভাবমূর্তি মুছে ফেলতে সাম্প্রতিক কালে দেশের বেশ কয়েকটি পুরনো নিয়ম বদলে ফেলার চেষ্টা করছেন যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন। সেই তালিকায় রয়েছে মহিলাদের গাড়ি চালানোর অধিকারের বিষয়টিও। এই মাসের ২৪ তারিখ থেকেই মহিলারা এই অধিকার পাবেন। সৌদির রক্ষণশীল সামাজিক বেড়াজাল ভেঙে যে সব মহিলা নতুন কিছু করার সাহস দেখাচ্ছেন, তাঁদের নিয়েই ভোগের এই সংস্করণ। রাজকুমারীকে নিয়ে ছবি তোলা হয়েছে জেড্ডা শহরের বাইরের এক মরুভূমিতে। প্রচ্ছদ কাহিনিতে রাজকুমারী বলেছেন, ‘‘আমাদের দেশে কিছু রক্ষণশীল মানুষ রয়েছেন, যাঁরা বদলকে ভয় পান। রক্ষণশীলতাই তাঁদের জগৎ। আমি মন থেকে এই পরিবর্তনকে স্বাগত জানাচ্ছি।’’

Advertisement

তবে বিশ্বের কাছে যতই সৌদির বদলে যাওয়া ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করুক রাজপরিবারের নতুন প্রজন্ম, এই বদল দেশের অন্দরে আসলে কতটা প্রভাব ফেলতে পারছে তা নিয়ে সন্দিহান বিশেষজ্ঞরা। এই প্রতিবাদের ঘটনাটি সেই আশঙ্কা আরও উস্কে দিল বলে মনে করছেন তাঁরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement