চিন বলছে, ‘‘যা নিয়েছি, ফিরিয়ে দেব।’’ ডোনাল্ড ট্রাম্প বলছেন, ‘‘ওই চোরাই মাল তোমরাই রেখে দাও।’’
এত কথা আমেরিকার একটি স্বয়ংক্রিয় ডুবো যানকে ঘিরে। গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ চিন সাগরে সমীক্ষা চালানোর সময়ে চিনা নৌবাহিনী যেটিকে বাজেয়াপ্ত করেছিল। তার পর থেকেই উত্তেজনা বেড়েছে দু’দেশের। আমেরিকা ইতিমধ্যেই চিনের কাছে কূটনৈতিক আপত্তি জানিয়েছে এ নিয়ে। পেন্টাগনের প্রেস সচিব পিটার কুক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘চিনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে আমরা একটা বোঝাপড়ায় পৌঁছেছি যে, চিন ওই ডুবো ড্রোনটি আমেরিকাকে ফিরিয়ে দেবে।’’ ঘটনাচক্রে, শনিবার চিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকও জানিয়েছে, তারা ‘যথাযোগ্য ভাবে’ ড্রোনটি ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও কী ভাবে তা ফেরানো হবে, ভেঙে বলা হয়নি।
মুখে ড্রোন ফেরানোর কথা বললেও চিন অবশ্য আক্রমণ করেছে আমেরিকাকে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মুখপাত্র ইয়াং ইয়ুজুন বলেছেন, ‘‘ওই যন্ত্রটি যাতে জাহাজের দিকনির্ণয় ব্যবস্থা ও যাত্রী-নাবিকদের ক্ষতি করতে না পারে, সেই কারণেই সেটি আটক করা হয়েছিল। চিনের জলসীমায় প্রায়শই আমেরিকা এই ধরনের সামরিক কর্মসূচি চালায়। তীব্র আপত্তি জানিয়ে বলছি, এ সব যেন বন্ধ হয়।’’ আমেরিকা অবশ্য গোড়া থেকেই বলছে, ‘আন্তর্জাতিক জলসীমায়’ তথ্য সংগ্রহ করছিল ডুবো ড্রোনটি। মার্কিন নৌবাহিনীর গবেষণা-জাহাজ ইউএসএনএস বাওডিচ সেটিকে তুলে আনতে প্রায় পৌঁছেও গিয়েছিল।
এই পরিস্থিতিতেই টুইট-বোমা ছেড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট-ইলেক্ট। ট্রাম্প লিখেছেন, ‘‘চিনকে বলে দেওয়া উচিত, ওরা যে ড্রোনটা চুরি করেছে সেটা আমাদের দরকার নেই। ওরাই রেখে দিক।’’ এই ‘বোমার’ উত্তরে কিছু বলেনি চিন।