ধাতব পাঁচিল দিয়ে ঘেরা গোটা শহর। ছবি: রয়টার্স।
প্রায় সাড়ে ১৬ ফুট উঁচু ধাতব পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে গোটা শহর। আসা-যাওয়ার সব রাস্তাও বন্ধ। শুধুমাত্র একটিই সরু রাস্তা খোলা রয়েছে। ওই রাস্তা দিয়েই শহরের বাইরে যাতায়াত করছেন প্যালেস্টাইনিরা। সেখানেও আবার জায়গায় জায়গায় ইহুদি সেনার ক্যাম্প। কড়া নজরদারি চলছে সর্বক্ষণ। যেন আস্ত জেলখানা!
রাস্তাঘাটে জায়গায় জায়গায় ইজ়রায়েলি সেনার ক্যাম্প ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের অন্তত ৩০ লক্ষ প্যালেস্টাইনির কাছে এখন স্বাভাবিক দৃশ্য। কিন্তু সম্প্রতি যে ভাবে ‘আগ্রাসন’ বাড়িয়েছে ইজ়রায়েল, তাতে আশঙ্কিত ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের সিনজিল শহরের বাসিন্দারা। বছর পঞ্চাশের মুসা শাবানি সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-কে বলেন, ‘‘সিনজিল এখন একটা বড় জেলখানা। আমাদের মাঠে পর্যন্ত যেতে দিচ্ছে না ইজ়রায়েলি সেনা। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। আমাদের ভাতে মারতে চাইছে ওরা।’’
সিনজিলে অন্তত আট হাজার প্যালেস্টাইনি বসবাস করেন। তাঁদের মূল জীবিকা কৃষি। ইজ়রায়েলি সেনা গোটা শহর পাঁচিল দিয়ে ঘিরে ফেলায় শহরের বাইরে যেতে পারছেন না বহু মানুষ। বাইরে বেরোলেও তাঁদের উপর কড়া নজরদারি চলছে। শহরের ডেপুটি মেয়র বাহা ফোকা বলেন, ‘’১০ একর জমির ভিতরে আট হাজার প্যালেস্টাইনিকে বন্দি বানিয়ে রেখেছে ইজ়রায়েলি সেনা। এই শহরের চারপাশ ঘিরে আরও দু’হাজার একর জমি আছে, যা এই শহরেরই বাসিন্দাদের। কিন্তু তাঁদের সেখানে যাওয়ার অনুমতি নেই। বেরোতেই দিচ্ছে না।’’
ইজ়রায়েলের দাবি, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধের পর ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের ওই এলাকা তাদের দখলে চলে এসেছে। সেখানে এখন বহু ইহুদি বসবাস করেন। তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই পাঁচিল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। সিনজিল যে প্রশাসনিক ক্ষেত্রের মধ্যে পড়ে, সেই বিনইয়ামিন আঞ্চলিক পর্ষদের প্রধান ইজ়রায়েল গ্যান্টস বলেন, ‘‘ইহুদি এলাকায় সিনজিলের লোকেরা পাথর, মলোটভ ককটেল ছুড়ে মারত। সেই কারণে এ সব করা হয়েছে।’’