আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
আমেরিকায় নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ৩৩ বছর ধরে আমেরিকায় এই ধরনের পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। হঠাৎ কেন সেই নীতি থেকে সরে আসতে চাইছেন ট্রাম্প? পরীক্ষার অর্থ কী? এতে কি পরীক্ষামূলক ভাবে বিস্ফোরণও ঘটানো হতে পারে? ট্রাম্পের নির্দেশের পর থেকেই এই সংক্রান্ত জল্পনা চলছিল। অবশেষে তার ব্যাখ্যা এল। ট্রাম্প প্রশাসনের জ্বালানিসচিব (এনার্জি সেক্রেটারি) ক্রিস রাইট হোয়াইট হাউসের অবস্থান স্পষ্ট করলেন।
ফক্স নিউজ়কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রাইট জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে কোনও বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা নেই আমেরিকার। ট্রাম্প যা বলেছেন, তা কেবল প্রথাগত পরীক্ষানিরীক্ষা। রাইটের কথায়, ‘‘আমরা যে পরীক্ষার কথা বলছি, আমার মনে হয় সেটা প্রথাগত। এখানে কোনও পরমাণু বিস্ফোরণ হবে না। এগুলোকে বলা হয় অ-জরুরি বিস্ফোরণ।’’ তবে কী হবে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার সময়? রাইট জানিয়েছেন, পরমাণু অস্ত্রের সমস্ত অংশ পরীক্ষা করে দেখা হবে। নির্দিষ্ট সময়ে কোনও অংশ বিগড়ে যেতে পারে কি না, তা থেকে সঠিক ভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো সম্ভব কি না, সে সব খতিয়ে দেখা হবে।
গত সপ্তাহে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। কেন এই নির্দেশ, তা খোলসা করেননি। দক্ষিণ কোরিয়ায় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে দেখা করার ঠিক আগে সমাজমাধ্যমে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা আবার শুরু করতে চলেছে আমেরিকা। ৩৩ বছর এই প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। আগে ঠান্ডা লড়াইয়ের সময় একাধিক বার মাটির নীচে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছে আমেরিকা। এ বারও তেমন কিছু করা হবে? রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে ওয়াশিংটনের সাম্প্রতিক সম্পর্কের সূত্র ধরে কেউ কেউ সেই প্রশ্নও তুলেছিলেন। ট্রাম্প জবাব দেননি।
রাইট জানিয়েছেন, ষাট, সত্তর এবং আশির দশকেও আমেরিকা পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করেছে। সে সব পরীক্ষা থেকে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেছে। এ বারও তেমন পরিকল্পনাই রয়েছে।
কিছু দিন আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, রাশিয়া এবং চিনও তাদের পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা করে। তবে গোপনে। আমেরিকার কাছে অন্য সকলের চেয়ে বেশি সংখ্যায় পরমাণু অস্ত্র রয়েছে। তাই এ বার তারাও পরীক্ষা শুরু করতে চায়। পরমাণু অস্ত্রগুলি কেমন ভাবে কাজ করে, তা ঠিকঠাক রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হবে এই সমস্ত পরীক্ষায়।