বালোচিস্তানের সেই ঘটনার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
শুধু গুলি করতে পারবেন, তার বেশি কিছু নয়। মৃত্যুর আগে এটিই ছিল পাকিস্তানের বালোচিস্তানের তরুণীর শেষ কথা। তার পরই কয়েক রাউন্ড গুলির আওয়াজ। মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন তরুণী। মৃত্যু হল ঘটনাস্থলেই। সম্প্রতি পাকিস্তানের এই ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়েছে। (যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আননন্দবাজার ডট কম)
ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, এক দল লোক একটি এসইউভি এবং পিকআপ ট্রাকে করে কোয়েটা প্রদেশের বাইরে একটি ফাঁকা জায়গায় এসে থামলেন। গাড়ি থেকে এক যুগলকে নামানো হল। তরুণীর মাথা একটি শাল দিয়ে ঢাকা। কিছু কথোপকথন হয়। তার পর তরুণী সামনের পাহাড়ের দিকে এক পা দু’পা করে এগিয়ে যান। তাঁর পিছনে পিছনে এক ব্যক্তি হাঁটছিলেন। কয়েক পা হাঁটার পর তরুণীর দিকে বন্দুক তাক করলেন। তার পর গুলি চালালেন। তরুণী পড়ে গেলেন। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছে।
স্থানীয় বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন বলছে, পরিবারের অমতে বিয়ে করেছিলেন তরুণী। ‘সম্মানরক্ষার্থে’ তাঁকে এ ভাবেই শাস্তি দেওয়া হয়েছে। তার পরই গুলি করা হয় ওই তরুণীর সঙ্গে থাকা যুবককে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন বলছে, ওই যুবকের সঙ্গেই বিয়ে হয়েছিল তরুণীর। তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়। দু’জনকে গুলি করার পর উল্লাস করতে থাকেন তাঁদের সঙ্গে আসা লোকজনেরা। এই ঘটনায় ১৪ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুলিশ জানিয়েছেন, সর্দার সাতাকজ়াই নামে এক ব্যক্তির নির্দেশে ওই যুগলকে গুলি করা হত্যা করা হয়েছে।
বালোচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সমস্ত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স তাঁর মন্তব্য উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘‘কাউকে এ ভাবে মেরে ফেলার অধিকার নেই।’’