Donald Trump on Migration

ট্রাম্প কাদের তৃতীয় বিশ্বের দেশ বললেন? নতুন ঘোষণায় কোন কোন দেশের অভিবাসন বন্ধ হতে পারে? কী হবে ভারতের ক্ষেত্রে

আফগানিস্তান ছা়ড়া দীর্ঘ পোস্টে আর কোনও দেশের নাম উল্লেখ করেননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। কেবল জানিয়েছেন, আমেরিকায় অভিবাসনের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে তৃতীয় বিশ্বের সমস্ত দেশের জন্য। কারা এই তৃতীয় বিশ্বের দেশ?

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৩:২৮
Share:

গ্রিন কার্ড হাতে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। —ফাইল চিত্র।

তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলির জন্য স্থায়ী ভাবে আমেরিকার অভিবাসন বন্ধ করে দিতে চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার সকালে (ভারতীয় সময়) এমনটাই তিনি সমাজমাধ্যমে ঘোষণা করেছেন। ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। তবে আফগানিস্তান ছা়ড়া দীর্ঘ পোস্টে আর কোনও দেশের নাম তিনি উল্লেখ করেননি। কেবল জানিয়েছেন, আমেরিকায় অভিবাসনের দরজা চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে তৃতীয় বিশ্বের দেশের জন্য।

Advertisement

এই তৃতীয় বিশ্বের দেশ কারা? ট্রাম্পের ঘোষণার ফলে কোন কোন দেশের উপর প্রভাব পড়তে পারে?

বস্তুত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আমেরিকা এবং সোভিয়েত ইউনিয়নকেন্দ্রিক দু’টি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব। শুরু হয়েছিল পুঁজিবাদী এবং সমাজবাদী ঠান্ডা লড়াই। এই সময়ে পুঁজিবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী আমেরিকার নেতৃত্বাধীন দেশগুলিকে ‘প্রথম বিশ্ব’ এবং সমাজবাদী ভাবধারায় বিশ্বাসী সোভিয়েতের নেতৃত্বাধীন দেশগুলিকে ‘দ্বিতীয় বিশ্ব’ বলা হত। যে সমস্ত দেশ দুইয়ের কোনও পক্ষেই ছিল না, তারা হয়ে গিয়েছিল ‘তৃতীয় বিশ্ব’। ভারতও সেই সময়ে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসাবেই পরিচিত ছিল। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বিশ্বের ধারণা পাল্টে গিয়েছে। এই ধরনের শব্দবন্ধ বর্তমানে আর সে ভাবে ব্যবহৃত হয় না।

Advertisement

‘তৃতীয় বিশ্ব’ হিসাবে ঘোষিত ভাবে কোনও দেশের তালিকা নেই। তবে বর্তমান প্রেক্ষিতে দরিদ্র, অনুন্নত দেশগুলিকে অনেকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ বলে উল্লেখ করে থাকেন। এই সমস্ত দেশে উৎপাদন-আয় কম, অস্থিরতা এবং অন্তর্দ্বন্দ্ব বিদ্যমান। তবে মূল তৃতীয় বিশ্বের ধারণার সঙ্গে দারিদ্র বা সংঘাতের কোনও যোগ ছিল না। মনে করা হচ্ছে, ট্রাম্প ‘তৃতীয় বিশ্বের দেশ’ বলতে এই ধরনের দেশগুলিকেই বোঝাতে চেয়েছেন। এশিয়া ও আফ্রিকার একাধিক দেশ সেই তালিকায় থাকতে পারে। থাকতে পারে আফগানিস্তানও।

ভারতের কী হবে

ক্ষমতায় আসার পর থেকে অভিবাসন নীতি নিয়ে যেমন কঠোর হয়েছেন ট্রাম্প, তেমন ভারতের বিরুদ্ধেও একাধিক পদক্ষেপ তাঁকে করতে দেখা গিয়েছে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার ‘অপরাধে’ ভারতীয় পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছেন তিনি। অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের শনাক্ত করে ভারতে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে ভারত সাম্প্রতিক প্রেক্ষিতে তৃতীয় বিশ্বের দেশ নয়। উন্নয়নশীল দেশ। ভারত থেকে বহু মানুষ আমেরিকায় যান। ফলে ট্রাম্পের নতুন অভিবাসন নীতি আদৌ ভারতের উপর প্রযোজ্য হবে কি না, এখনও স্পষ্ট নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারত ও আমেরিকার কূটনৈতিক সম্পর্কের উপর অনেকাংশে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে।

গ্রিন কার্ড তৎপরতা

কিছু দিন আগে হোয়াইট হাউসের সামনে বন্দুকবাজের হানায় দু’জন মার্কিন ন্যাশনাল গার্ডের মৃত্যু হয়। জানা যায়, বন্দুকবাজ আফগানিস্তানের নাগরিক ছিলেন। এর পরেই ট্রাম্প প্রশাসন আফগানিস্তান-সহ ১৯টি দেশের গ্রিন কার্ড খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে। তালিকায় রয়েছে মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো, ইকোয়াটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, বরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিয়োন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজ়ুয়েলা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement