US Tariff War

বন্ধুত্ব রাখতে চাইলে বন্ধুর মতো আচরণ করতে হবে! মস্কো থেকে তেল কেনা নিয়ে ভারতকে ফের বার্তা হোয়াইট হাউসের

মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর চড়া হারে শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। কূটনৈতিক এই টানাপড়েনের আবহেই আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৫ ১৬:১২
Share:

(পিছনে) ভ্লাদিমির পুতিন। (সামনে) ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে ফের মন্তব্য করল আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা পিটার নাভারোর দাবি, রাশিয়া থেকে ভারতের তেল কেনা বন্ধ করতেই হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফিনান্সিয়াল টাইম্‌স’-এর এক নিবন্ধে এমনটাই লিখেছেন তিনি। নাভারোর দাবি, “ভারত যদি আমেরিকার বন্ধু হয়ে থাকতে চায়, তবে তাদের আচরণও তেমনই হতে হবে।” হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টার আরও দাবি, রাশিয়া এবং চিন উভয়ের ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করেছে নয়াদিল্লি।

Advertisement

সাম্প্রতিক সময়ে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে এক কূটনৈতিক টানাপড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ হল রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক। গত তিন বছর ধরে চলে আসা রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে উদ্যোগী হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর অভিযোগ, ভারতের সঙ্গে ব্যবসার লভ্যাংশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যবহার করছে রাশিয়া। মস্কোর সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখার জন্য নয়াদিল্লির উপর চড়া হারে শুল্কও চাপিয়েছেন ট্রাম্প। কূটনৈতিক এই টানাপড়েনের আবহেই আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির সঙ্গেও আলোচনায় বসার কথা রয়েছে তাঁর। পর পর এই বৈঠকগুলির মাধ্যমে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কোনও ইতিবাচক দিশা বেরিয়ে এলে ভারত-আমেরিকা কূটনৈতিক টানাপড়েনও কেটে যেতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। তবে এরই মধ্যে হোয়াইট হাউসের বাণিজ্য উপদেষ্টা ফের দাবি করলেন, রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে ভারতকে। তাঁর দাবি, “রাশিয়ার জ্বালানির জন্য একটি ‘ক্লিয়ারিং হাউস’ হিসাবে কাজ করে ভারত।” রাশিয়ার পাশাপাশি চিনের সঙ্গেও ভারত ঘনিষ্ঠ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

Advertisement

ঘটনাচক্রে, সোমবারই ভারত সফরে আসছেন চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। চলতি মাসের শেষে চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ২০২০ সালে লাদাখে সংঘর্ষের পাঁচ বছর পরে নয়াদিল্লি-বেজিং সম্পর্কের অগ্রগতির দিকে নজর রাখছে আমেরিকাও। ট্রাম্পের বাণিজ্য উপদেষ্টার মন্তব্য থেকে সেই আভাসই মিলেছে।

আলাস্কায় বৈঠকের আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স নিউজ় রেডিয়ো’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভারতের উপর শুল্ক নিয়ে আবার মন্তব্য করেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের দাবি, অতিরিক্ত শুল্ক চাপানোর ফলে রাশিয়া থেকে তেল কেনা থেকে তিনি ভারতকে দূরে রাখতে পেরেছেন। যদিও রাশিয়ার থেকে ভারত তেল কেনা বন্ধ রেখেছে বলে কোনও তথ্য নয়াদিল্লি থেকে প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। বরং, ভারত সরকারের সূত্রের দাবি, রাশিয়া থেকে তেল কেনা অব্যাহত রাখবে নয়াদিল্লি। ভারত যে নিজের স্বার্থের সঙ্গে কোনও আপস করবে না, তা স্পষ্টতই বুঝিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গয়ালও সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন, ভারত এখন অনেক শক্তিশালী রাষ্ট্র এবং কোনও ভাবেই মাথা নত করবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement