Coronavirus

এত দেরিতে তেহরান সতর্ক কেন, উঠছে প্রশ্ন

ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারির আকার নিচ্ছে বলে স্বীকার করেনি ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

Advertisement
তেহরান শেষ আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২০ ০৫:১১
Share:

চলছে জীবাণুমুক্ত করার কাজ।—ছবি পিটিআই।

মৃতের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১০৭ ছুঁয়েছে। আক্রান্ত সাড়ে তিন হাজারের বেশি। চিনের পরে ইটালি আর এখানেই সবচেয়ে বেশি প্রাণ কেড়েছে নোভেল করোনাভাইরাস। তবে চিন-সহ অন্যান্য দেশে যেখানে আক্রান্তের ২ থেকে ৩ শতাংশ মারা যাচ্ছেন, ইরানে সেই হারটাই ৮ থেকে ১৮ শতাংশের মধ্যে ওঠা-নামা করছে। পশ্চিম এশিয়ার এই দেশে কেন এমন মহামারির আকার নিল মারণ ভাইরাসের আক্রমণ? প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন এ দেশের সাধারণ মানুষই।

Advertisement

ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে সাধারণ নির্বাচন ছিল ইরানে। একই সঙ্গে বর্ষপূর্তি ছিল ইরান বিপ্লবের। ভোট আর বর্ষপূর্তির সময়ে রোগ নিয়ে প্রচার করলে ফল উল্টে যেতে পারে এই আশঙ্কায় সরকার থেকে তেমন সতর্কতা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকে। যদিও সেই সময়ে রাখঢাক করেও বেশি সংখ্যক মানুষকে বুথে আনা যায়নি। ভোট পড়েছিল দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম শতাংশ।

তবু ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারির আকার নিচ্ছে বলে স্বীকার করেনি ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এমনকি গত সপ্তাহ পর্যন্ত ধর্মীয় স্থানগুলিতে জমায়েত বা সমাবেশও নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রয়োজন মনে করেননি ধর্মীয় নেতারা। উল্টে প্রচার করা হয়েছে, ধর্মস্থানে এসে প্রার্থনা করেই রোগের উপশম পেতে পারেন মানুষ। অথচ দেশের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী, ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকদের একাংশ এখন সংক্রমিত। হাসপাতালের বাইরে উপচে পড়ছে লাশ-ভরা প্লাস্টিক ব্যাগের স্তূপ। এই পরিস্থিতিতে সবে মাত্র চলতি সপ্তাহ থেকে সতর্কতা নিতে শুরু করেছে সরকার। শুক্রবার করে মসজিদে নমাজ পড়া বন্ধ হয়েছে কম করে ২৪টি প্রদেশে। ইরানি নববর্ষ ‘নভরোজ’ পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজও বন্ধ। বড় জমায়েতেও এখন নিষেধাজ্ঞা। বন্ধ সিনেমা হল, ফুটবল ম্যাচ। ঘনঘন সাফ করা হচ্ছে মসজিদ থেকে অফিস চত্বর। সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে নোটের ব্যবহারেও রাশ টানা হচ্ছে। কিন্তু এত দেরি করে এ সব ব্যবস্থা নিলে আদৌ তা কতটা কার্যকর হবে, সে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। আতঙ্কে ইরানের সঙ্গে সীমান্ত বন্ধ রেখেছে ইরাক, আফগানিস্তান, পাকিস্তানের মতো দেশ।

Advertisement

জাপানের উপকূলে আটকে থাকা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেসের পরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে আরও একটি জাহাজ নিয়ে। ক্যালিফর্নিয়া উপকূলে গত কাল থেকে আটকে রাখা হয়েছে গ্র্যান্ড প্রিন্সেস নামে একটি জাহাজকে। সানফ্রান্সিকো থেকে মেক্সিকো গিয়েছিল জাহাজটি। সেখানেই এক যাত্রী সংক্রমিত হন। ফিরে আসার কয়েক দিনের মধ্যে তিনি মারা যান। জাহাজটি পরে হাওয়াই গিয়েছিল। মৃত ওই বৃদ্ধ যাত্রীর সহযাত্রী ছিলেন এমন কয়েক জন ছিলেন হাওয়াই সফরে। তাতেই সতর্ক হয় প্রশাসন। জাহাজটিতে এখন স্বাস্থ্যকর্মীরা গিয়ে সকলকে পরীক্ষা করা শুরু করেছেন।

সংবাদ সংস্থা

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন