International news

মহিলা বন্দুকবাজের হামলায় রক্তাক্ত ইউটিউবের সদর দফতর

ঙ্গলবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী বেলা পৌনে একটা নাগাদ আচমকাই ইউটিউবের দফতরের নীচের তলায় শোনা যায় গুলির শব্দ। ডায়না আর্নসপিগার নামে ইউটিউবেরই এক কর্মীর কথায়, “এক মহিলা গুলি চালাচ্ছিলেন। প্রাণভয়ে তখন কেউ এদিক- এদিক ছুটছেন। তো কেউ নিরাপদ জায়গায় লুকানোর চেষ্টা করছেন।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সান ব্রুনো শেষ আপডেট: ০৪ এপ্রিল ২০১৮ ১১:১১
Share:

আক্রান্ত ইউটিউবের সদর দফতর। ছবি: এএফপি।

স্কার্ফে ঢাকা মুখ। হাতে উদ্যত বন্দুক। ক্যালিফোর্নিয়ার সান ব্রুনোয় এক মহিলা বন্দুকবাজের হামলায় রক্ত ঝরল ইউটিউবের সদর দফতরে। পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগেই অবশ্য মাথায় গুলি চালিয়ে ওই মহিলা আত্মঘাতী হয়েছেন।তার আগে অবশ্য গুলির মুখে পড়ে জখম হয়েছেন ইউটিউবের তিন কর্মী।

Advertisement

কিন্তু কেন এমন হামলা? প্রাথমিক তদন্তে জঙ্গিযোগের তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়েছে সান ব্রুনোর পুলিশ। জানা গিয়েছে, হামলাকারীর নাম নাসিম নাজাফি আঘদাম। বয়স ৩৯। পুলিশে ধারণা, পারিবারিক কোনও হাতাশার কারণেই হামলা চালিয়েছেন ওই মহিলা।

মাউন্টেন ভিউয়ে গুগলের সদর দফতর থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সান ব্রুনোয় ইউটিউব অফিসে কমকরে এক হাজার কর্মী কাজ করেন। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় অনুযায়ী বেলা পৌনে একটা নাগাদ আচমকাই ইউটিউবের দফতরের নীচের তলায় শোনা যায় গুলির শব্দ। ডায়না আর্নসপিগার নামে ইউটিউবেরই এক কর্মীর কথায়, “এক মহিলা গুলি চালাচ্ছিলেন। প্রাণভয়ে তখন কেউ এদিক- এদিক ছুটছেন। তো কেউ নিরাপদ জায়গায় লুকানোর চেষ্টা করছেন।”

Advertisement

আরও পড়ুন: মার্কিন জঙ্গি তালিকায় হাফিজের দল, খুশি দিল্লি

আরও পড়ুন: হাল ফেরাতে সময় চাইছেন জুকেরবার্গ

গুলিতে আহত তিন জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারী মহিলার বুলেটবিদ্ধ দেহ মিলেছে। মনে করা হচ্ছে, গ্রেফতার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই হয়ত নিজের হ্যান্ডগান থেকে গুলি চালিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তিনি। এই ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় টুইট করে পুলিশের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকবাজের হামলা অবশ্য নতুন কিছু নয়। কিন্তু মহিলা বন্দুকবাজের হামলা বিরল। এফবিআই-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ১৬০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে মাত্র ছ’টি ঘটনায় মহিলারা যুক্ত ছিলেন। প্রশ্ন উঠছে ইউটিউব দফতরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন