মধ্যবর্তী নির্বাচনে মুখ পুড়েছে ডেমোক্র্যাটদের। তবু হাল ছাড়তে নারাজ বারাক ওবামা। কংগ্রেসের দুই কক্ষই চলে গিয়েছে বিরোধী রিপাবলিকানদের হাতে। অথচ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মেয়াদ ফুরোতে এখনও বছর দু’য়েক। তাই ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া ওবামা। এবং এ বারও উন্নয়নকেই হাতিয়ার করতে চাইছেন। গত দু’বছরের ফিরিস্তির সঙ্গে জুড়তে চাইছেন আগামী দিনের প্রতিশ্রুতিও। ফল বেরিয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার ওবামা জানালেন, বৃহত্তর মার্কিন স্বার্থে রিপাবলিকানদের সঙ্গে কাজ করায় তাঁর কোনও অসুবিধা নেই। বললেন, “আমেরিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে আমি এখনও আশাবাদী।”
তবে আগামী দু’বছর যে বড় কঠিন সময়, মেনে নিয়েছেন ওবামা। কংগ্রেসে প্রস্তাব পাস করানোর ক্ষেত্রে বিরোধীদের তরফে বাধা আসতে পারে ধরে নিয়েই বললেন, “খুব ভাল করেই জানি, আগামী দিনে কংগ্রেস এমন কিছু প্রস্তাব পাস করাতে চাইবে, যেগুলোতে আমি সই করতে পারব না। আবার এর উল্টোটাও হতে পারে। আমি চাইলেও, ওরা তা হতে দেবে না। তবু আমেরিকার স্বার্থে আগামী দু’বছর নতুন কংগ্রেসের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়েই কাজ করতে চাইব।” বিরোধীদের তরফে কংগ্রেসে কোনও ইতিবাচক প্রস্তাব এলে তা-ও গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট। তবে অভিবাসন নীতি সংস্কারের মতো কিছু বিষয়ে এদিনও নিজের অবস্থানেই অনড় থেকেছেন তিনি। শুক্রবার হোয়াইট হাউসের বিশেষ বৈঠকে ডেকেছেন দু’পক্ষের নেতাদেরই।
ডেমোক্র্যাটদের হারিয়ে মার্কিন সেনেটের দখল নিয়েছে বিরোধী দল রিপাবলিকান। একই সঙ্গে তারা সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়িয়েছে হাউস অব রিপ্রেসেন্টেটিভেও। ডেমোক্র্যাট দুর্গ আরকান্স, কলোরাডো, আইওয়া, মন্টানা, নর্থ ক্যারোলাইনা, সাউথ ডাকোটা এমনকী ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার সেনেট আসনেও জয়ী হয়েছে রিপাবলিকানরা। রিপাবলিকানদের দখলে এখন সেনেটের ৫২টি আসন, যেখানে ডেমোক্র্যাটদের সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ৪৫টি-তেই। দেশের বেহাল অর্থনীতির জন্য ওবামাকেই দায়ী করে আসছিলেন রিপাবলিকানরা। আজ তাদের তরফেও মার্কিন কংগ্রেসে একজোট হয়ে কাজের আর্জি উঠে এল। কেনটাকির দুঁদে সেনেটর মিচ ম্যাককনেল দলীয় সেনেট নেতা থেকে মার্কিন সেনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠের নেতা হতে চলেছেন। তিনি বলেন, “গত কয়েক বছরে সেনেট প্রায় কিছুই করেনি। আমাদের এ বার সেই কাজটাই করতে হবে।”