নতুন বছর শুরুর উদযাপনটা পৃথিবীর একেক দেশে একেক রকম। এক দেশে যা আজব, অন্য দেশে তাই রীতি।
স্পেন: ঘড়িতে ৩১ তারিখ রাত ১২টা বাজার ঘণ্টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে একটা করে আঙুর খেতে শুরু করেন স্পেনীয়রা। প্রতিটি ঘণ্টা ধ্বনির সঙ্গে একটা করে আঙুর খেতে হয়। সময় মতো খাওয়া শেষ না হলে নাকি দু্র্ভাগ্য গ্রাস করতে পারে। অনেকে তো এই দিনের আগে ঘড়ি দেখে আঙুর খাওয়া অনুশীলন করেন।
স্কটল্যান্ড: অনেকেই বিশ্বাস করেন, মাঝরাতে হাতে এক বোতল হুইস্কি, একটা রেজিন ব্রেড আর একটা কয়লা নিয়ে এক তরুণ যদি দরজায় উপস্থিত হয়, তা হলে সৌভাগ্য নাকি হাতের মুঠোয়। পোড়ানো হয় জুনিপার গাছের ডালও।
চেক প্রজাতন্ত্র: এ দেশে আপেল দিয়েই নির্ধারিত হয় ভাগ্য। দু’ভাগে ভাগ করলে ফলের মাঝখানের অংশটাই নাকি ঠিক করে দেয়, ভাগ্য কেমন হবে। যদি ক্রস চিহ্নের মতো দেখা যায়, তবে বছরটা খারাপ কাটবে, আর তারার আকৃতির মতো মাঝখানের অংশটি হলে, বছর নাকি বেশ ভাল কাটবে!
গ্রিস: বাড়ি কিংবা ক্যাসিনো, এ দিন তাস, পাশা কিংবা জুয়া খেলবেনই গ্রিকরা। জিতলেই নাকি সারা বছরটা ভাল কাটবে, এমনটাই বিশ্বাস তাঁদের।
আর্জেন্তিনা: বছর শেষে পুরনো নথি, কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেন এই দেশের বাসিন্দারা। তার পর দুপুরবেলার দিকে বছরের প্রথম দিনে সেই পুরনো কাগজের ছেঁড়া টুকরো ছুড়ে ছুড়ে ফেলে নতুন বছরকে স্বাগত জানান।
জাপান: বছরের প্রথম দিন ‘মোচি’ নামের একটা বিশেষ ধরনের স্ন্যাকস গিলে খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। এরকম করলে নাকি দীর্ঘায়ু হন সেই ব্যক্তি। যদিও এ নাকি বেশ কঠিন।
হাঙ্গেরি: বছরের শেষ দিন হাঙ্গেরিয়ানরা হাঁস, মুরগি বা কোনও পাখির মাংস খান না। উড়তে পারে, এমন পাখির মাংস খেলে নাকি নতুন বছরে জীবন থেকে সব সৌভাগ্য উড়ে যায়! নতুন বছরে যে উপহার দেন, তাতে চিমনি পরিষ্কার করছেন এমন শ্রমিকের ছবি থাকে৷ উপহারে এ ছবিটি থাকলে পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ মুছে যাবে বলে বিশ্বাস।
ইতালি: প্রত্যেক ব্যক্তিকে নতুন বছর শুরুর মুহূর্তে নাকি লাল অন্তর্বাস পরতে হয়। পরে সারা দেশজুড়ে তা জমিয়ে রাখাও হয়! স্পেন আর চিলিতেও নাকি এ ধরনের রীতি আছে। ইতালীয়রা ডাল এবং পর্ক লেগপিস খান সৌভাগ্যের প্রতীক হিসাবে।
ব্রাজিল: নতুন বছরে ‘ব্র্যান্ড নিউ আন্ডারওয়্যার’ কিনে পরতে হয় এই দেশের বাসিন্দাদের! শুদ্ধ ভাবে বছর শুরু হয় তাতে, তাই নাকি এমন প্রথা চালু রয়েছে। সাদা পোশাক পরে সমুদ্রে সাতটি ডুব দিয়ে, সাতটি ফুল ছুড়ে দিলে নাকি বছর খুব ভাল কাটে।
কোরিয়া: কোরিয়াতে নববর্ষ শুরুতে কেউ ঘুমান না। ঘুমালে নাকি চোখের ভ্রূ সাদা হয়ে যায়! রাত ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে টিভিতে ৩৩ বার ঘণ্টা বাজে। কোরিয়ার ৩৩ বীরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন হয় এ ভাবে।