সাঁতরে হাঙরের খপ্পর থেকে রক্ষা

সিনেমার দৃশ্য নয়, গত শুক্রবার পশ্চিম অস্ট্রেলীয় উপকূলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া এক যুবকের কাছ থেকে শোনা গেল এমনই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা!

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৭:৩০
Share:

পিছনে ধেয়ে আসছে সাক্ষাৎ শমন! আর সামনে প্রাণপণে সাঁতার কেটে চলেছেন এক যুবক।

Advertisement

সিনেমার দৃশ্য নয়, গত শুক্রবার পশ্চিম অস্ট্রেলীয় উপকূলের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া এক যুবকের কাছ থেকে শোনা গেল এমনই রোমহর্ষক অভিজ্ঞতা!

জন ক্রেগ নামে ওই যুবক পেশায় মৎস্যজীবী। ‘ডাইভ’ প্রশিক্ষক হিসেবেও কাজ করেন তিনি। জন জানান, গত শুক্রবার নৌকা নিয়ে পশ্চিম অস্ট্রেলীয় উপকূল থেকে একটু দূরে গিয়েছিলেন তিনি। নৌকা রেখে সমুদ্রের জলে নেমেছিলেন। কিছু পরে খেয়াল করেন, জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে নৌকাটি। ইঞ্জিনে গোলযোগের কারণেও এই কাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে অনুমান জনের।

Advertisement

ঠিক এমন সময়েই তাঁর আবির্ভাব! নৌকা ভেসে গিয়েছে, নাকি তিনি নিজে মূল জায়গা থেকে সরে এসেছেন, তা বুঝতে ডুব দিতেই জন দেখেন একটি বড় কালো ছায়া জল কাটিয়ে দ্রুত তাঁর দিকে এগিয়ে আসছে। কালো ছায়াটি যে একটি আস্ত টাইগার শার্কের, ডুবুরি হিসেবে ১০ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে তা বুঝতে এতটুকু দেরি হয়নি তাঁর। মুহূর্তের মধ্যে কয়েক হাতের দূরত্বে চলে আসে সেটি। জন বলেন, ‘‘হাঙরটি লম্বায় প্রায় ১৩ ফুট ছিল। জীবনে এত বড় টাইগার শার্কের মুখে পড়িনি। মনে হচ্ছিল আর বেঁচে ফিরতে পারব না।’’ অস্ত্র বলতে হাতে ছিল মাছ ধরার একটি বল্লম। সেটিকেই পিছনে হাঙরের দিকে তাক করে সাঁতার কাটতে শুরু করেন তিনি।

জন বলেন, ‘‘কোন দিকে সাঁতার কাটছিলাম, হুঁশ ছিল না। মনে হচ্ছিল, হাঙরের তাড়া খেয়ে যদি আরও গভীর সমুদ্রে চলে যাই, তা হলে তো ফেরার কোনও পথই থাকবে না।’’ সাঁতার কাটার সময় আরও দু’একটি কালো ছায়া তাঁর পিছু নিয়েছিল বলে মনে করছেন জন। এই ভাবে সাঁতার কাটলেন প্রায় পাঁচ মাইল। উপকূলের কাছে আসতেই তাঁকে চোখে পড়ে একটি উদ্ধারকারী দলের। তাঁরাই নৌকা নিয়ে গিয়ে বাঁচান জনকে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন